Madhya Pradesh

বৃদ্ধাশ্রমে যেতে চাননি শাশুড়ি, রাগে চুলের মুঠি ধরে মার তরুণী ও তাঁর পরিবারের! পার পেলেন না স্বামীও

৭০ বছর বয়সি সরলা বাত্রা নামে ওই বৃদ্ধা তাঁর ছেলে বিশাল, পুত্রবধূ নীলিকা এবং নাতি-নাতনিদের সঙ্গেই থাকতেন। তিনি অভিযোগ করেন যে তাঁর পুত্রবধূ পরিবারের সম্পত্তি দখল করতে চেয়েছিলেন এবং তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৫৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

বৃদ্ধাশ্রমে যেতে নারাজ ছিলেন বৃদ্ধা। সে কারণে তাঁকে চুলের মুঠি ধরে মেঝেতে ফেলে অকথ্য নির্যাতন করলেন পুত্রবধূ। বৃদ্ধাকে বাঁচাতে এসে মার খেলেন পুত্রও। স্ত্রী ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন হাজির হয়ে বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলেকে টেনেহিঁচড়ে মারধর করতে শুরু করে। মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের ঘটনা। মর্মান্তিক ঘটনাটি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। সেই ভিডিয়োটি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। ঘটনাটি কবে ঘটেছে তা ভিডিয়ো দেখে বোঝা সম্ভব হয়নি। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭০ বছর বয়সি সরলা বাত্রা নামে ওই বৃদ্ধা তাঁর ছেলে বিশাল, পুত্রবধূ নীলিকা এবং নাতি-নাতনিদের সঙ্গেই থাকতেন। তিনি অভিযোগ করেন যে তাঁর পুত্রবধূ পরিবারের সম্পত্তি দখল করতে চেয়েছিলেন এবং তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় মেঝেতে ফেলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান নীলিকা। তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ায় পর মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।

এক্স হ্যান্ডলে ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক বৃদ্ধ ও দুই তরুণ বিশালকে ধরে মারতে শুরু করেছেন। সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে এঁরা নীলিকার বাবা ও ভাই। ছেলেকে মার খেতে দেখে বৃদ্ধা সরলা ছুটে এসে বাঁচানোর চেষ্টা করতেই নীলিকা দোতলা থেকে এসে শাশুড়ির চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে মাটিতে ফেলে দেন। তাঁকে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন। এর পর নীলিকা সরলার চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে এসে ধাক্কা মেরে সিঁড়ির নীচে ফেলে দেন। অন্য দিকে, নীলিকার বাবা এবং ভাইকে সরলাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে জামাইকে কিল, চড়, ঘুষি মারতে থাকেন। এমনকি এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে মা ও ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো সত্ত্বেও পুলিশ মামলা দায়ের করেনি বলে অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতেরা, পরে তাঁরা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অবশেষে এফআইআর দায়ের করা হয় নীলিকা এবং তাঁর বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement