ছবি: সংগৃহীত।
পুরনো বাড়ি কিনে মেরামতির কাজ করাচ্ছিলেন যুগল। আধুনিক ধাঁচে সাজাতে বাড়ির মেঝেও বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই যুবক এবং তাঁর স্ত্রী। সেই মেঝের নীচেই মিলল ‘গুপ্তধনের’ সন্ধান। ১০০ বছরের পুরনো বেশ কয়েকটি প্রেমপত্র খুঁজে পেলেন তাঁরা। সাক্ষী থাকলেন এক অনন্য ইতিহাসের। সমাজমাধ্যম রেডিট-এ নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন ওই যুবক।
ওই যুবক জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি এবং তাঁর স্ত্রী একটি পুরনো বাড়ি মেরামত করছিলেন বসবাসের জন্য। পুরনো বাড়ির খোলনলচে বদলে আধুনিক রূপ দিচ্ছিলেন বাড়িটিকে। সেই বাড়িরই মেঝে বদলানোর সময় তাক লেগে যায় তাঁদের। বাড়ির একটি তক্তা থেকে শতাব্দীপ্রাচীন ১৪টি প্রেমপত্র উদ্ধার করেন তাঁরা। সেগুলি দেখে স্বামী-স্ত্রী হতবাক হয়ে যান।
ওই যুবক জানিয়েছেন, চিঠিগুলি ফ্রেডি নামের এক মহিলাকে সম্বোধন করে লেখা। তবে চিঠিতে সংশ্লিষ্ট কোনও ঠিকানা ছিল না। তারিখ দেখে বোঝা গিয়েছে সেগুলি ১০০ বছরেরও পুরনো।
ওই যুবক সেই চিঠিগুলির ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এনেছেন। নেটাগরিকদের অনেকেই সেই ছবি দেখেছেন। ছবিগুলি দেখে বিভিন্ন মন্তব্যও করেছেন তাঁরা। লাইকের ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। এক নেটাগরিক ওই পোস্ট দেখে মন্তব্য করেছেন, ‘‘যিনি ওই চিঠি লিখেছিলেন, তিনি প্রকৃত অর্থেই প্রেমিক। প্রতিটি খামে আলাদা আলাদা হাতের লেখা।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘দেখে ভাল লাগল। কিন্তু চিঠিগুলি যাঁর উদ্দেশে লেখা, তাঁর হাতে কখনও পৌঁছেছিল কি না তা জানতে মন চাইছে।’’