Bizarre

‘বয়স কম, কাজ করো’! ব্যক্তিগত জীবনে ছড়ি ঘোরান, সহকর্মীদের সঙ্গেও কথাবার্তা বন্ধ করার নির্দেশ দিলেন ঊর্ধ্বতন

আট ঘণ্টা কেটে গেলেও অতিরিক্ত সময় অফিসে থেকে অতিরিক্ত কাজ করতে হবে তরুণকে। তবে অতিরিক্ত কাজের জন্য অতিরিক্ত বেতন মিলবে না। এমনকি, তরুণকে তাঁর পছন্দের সহকর্মীদের সঙ্গেও গল্প করতে বারণ করে দিয়েছেন তাঁর ম্যানেজার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

অফিসের সমস্ত কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করে ফেলেন তরুণ। তবুও তাঁর ঊর্ধ্বতন ক্ষুব্ধ। ঊর্ধ্বতনের দাবি, তরুণের বয়স অনেক কম। এই বয়সে অফিস ছাড়া জীবনে আর কিছুই থাকা উচিত নয়। ঘড়ি দেখে অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়াও উচিত নয় তরুণের। সময় পেরিয়ে গেলেও অফিসে থেকে বাড়তি কাজ করতে হবে তরুণকে। কিন্তু সেই কাজের জন্য অতিরিক্ত বেতন পাবেন না অধস্তন। তরুণের ব্যক্তিগত জীবনেও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করে দিয়েছেন তাঁর ম্যানেজার। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই ঘটনার উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন তরুণ (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

Advertisement

‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে অফিসের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথা উল্লেখ করেছেন তরুণ। এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী সেই তরুণ। কাজ ছাড়াও অন্য বিষয় নিয়ে আগ্রহ রয়েছে তাঁর। অফিসের কাজ সেরে তাই সেগুলি নিয়েই সময় কাটাতে ভালবাসেন তরুণ। এমনকি, অফিসের কয়েক জন সহকর্মী রয়েছেন যাঁদের সঙ্গে তরুণের পছন্দের মিল হয়। বিরতির সময় অথবা দুপুরে খাওয়াদাওয়া সারার সময় তাঁদের সঙ্গেই গল্প করেন তরুণ। তাঁর এই আচরণ পছন্দ নয় তরুণের ম্যানেজারের। অধস্তনের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ নিয়েও ছড়ি ঘোরান তিনি।

ম্যানেজারের দাবি, তরুণের বয়স খুব কম। এই বয়সেই অফিসে বেশি খাটতে হবে তাঁকে। আট ঘণ্টা কেটে গেলেও অতিরিক্ত সময় অফিসে থেকে অতিরিক্ত কাজ করতে হবে তরুণকে। তবে অতিরিক্ত কাজের জন্য অতিরিক্ত বেতন মিলবে না। এমনকি, তরুণকে তাঁর পছন্দের সহকর্মীদের সঙ্গেও গল্প করতে বারণ করে দিয়েছেন তাঁর ম্যানেজার। তরুণের ঊর্ধ্বতনের দাবি, অফিসে গল্প করে কাজের গতি নষ্ট হয়। অফিসের এমন বিষাক্ত পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে দমবন্ধ লাগছিল তরুণের। কোনও উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত মানবসম্পদ বিভাগের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বিস্তারে সব জানান তরুণ। সেই উচ্চপদস্থ আধিকারিকও তরুণের ম্যানেজারকে সমর্থন করতে পারলেন না।

Advertisement

অফিসের অন্য বিভাগে কাজ করার জন্য মানবসম্পদ বিভাগের আধিকারিকের কাছে অনুরোধ করেছিলেন তরুণ। কিন্তু অন্য বিভাগে কর্মখালি না থাকায় তরুণকে বাধ্য হয়ে সেই ম্যানেজারের সঙ্গেই কাজ করতে হচ্ছে। তবে তাঁর সঙ্গে অফিসে যা ঘটনা ঘটছে তা বিস্তারে লিখে রাখার জন্য তরুণকে উপদেশ দিয়েছেন উচ্চপদস্থ কর্তা। তরুণের ম্যানেজার কোনও নালিশ জানালে অথবা বেশি ক্ষণ অফিসে থাকার পরামর্শ দিলে তা-ও লিখিত জানাতে বলেছেন মানবসম্পদ বিভাগের আধিকারিক। তা জানার পর তরুণের উপর খেপে গিয়েছেন তাঁর ম্যানেজার।

তরুণকে দেখে তিনি বলেছেন, ‘‘তোমার কাজ করার ইচ্ছা নেই। শুধুমাত্র টাকার জন্যই কাজ করো তুমি।’’ তরুণের উপর বাড়তি কাজের বোঝা চাপানোও বন্ধ করে দিয়েছেন ম্যানেজার। চাকরি ছাড়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন তরুণ। কিন্তু মন্দার বাজারে চাকরি ছাড়া আদৌ উচিত হবে কি না, তা জানতে চেয়ে নেটাগরিকদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তরুণ। তরুণের পরিস্থিতি দেখে এক জন নেটব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘আপনি চাকরি খুঁজতে শুরু করুন। অন্য জায়গায় চাকরি পেয়ে তবেই এই চাকরি ছাড়ুন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement