—প্রতীকী ছবি।
ফুল, মালা দিয়ে সাজানো বরের গাড়ি। বরকে নিয়ে কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন বরযাত্রীরা। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিয়ের লগ্ন ছিল। একই সময়ে ওই এলাকায় অসামরিক নিরাপত্তা মহড়া (মক ড্রিল) শুরু হয়। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরবর্তী সুরক্ষা মহড়ায় অংশ নিতে গিয়ে নিজের বিয়ের সময় পিছিয়ে দিলেন বিহারের এক তরুণ। পূর্ণিয়া জেলার বাসিন্দা সুশান্ত কুশওয়াহা সন্ধ্যা ৬টার সময় বিয়ে করতে না গিয়ে মহড়া অভিযানে অংশ নিলেন। এই অভিযানে যোগ দেওয়ার আগে সুশান্ত জানান, দেশের স্বার্থ সকলের আগে। যদি সৈন্যরা তাঁদের বিয়ে ছেড়ে আমাদের রক্ষা করতে পারেন তবে সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।
পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) জুড়ে জঙ্গিশিবিরগুলিতে সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরে বিহারে এই নিরাপত্তা মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। যুদ্ধ পরিস্থিতি বা ক্ষেপণাস্ত্র হানা হলে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা-ই মহড়ায় শেখানো হয়। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা কী ভাবে করতে হবে, প্রাথমিক চিকিৎসার ভার নেওয়া, এ সবও হাতেকলমে শেখানো হয় এই মহড়ায়। সুশান্ত মহড়ার প্রতিটি ধাপ শেষ করে তবেই বিয়ের জন্য তৈরি হন। সুশান্ত তাঁর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে উভয় পরিবারকে আগে থেকেই জানিয়েছিলেন। স্থানীয় অসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের সঙ্গে মহড়ার দায়িত্ব শেষ করে রাত ৮টায় বরযাত্রীসমেত বিয়ে করতে রওনা দেন সুশান্ত।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারত এবং পাকিস্তানের টানাপড়েনের আবহে আপৎকালীন বা যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সাধারণ মানুষকে প্রস্তুত করতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গায়। মূলত বিমান হামলা হলে কী ধরনের পদক্ষেপ করতে হবে তা শেখানো হয়েছে সাধারণ মানুষকে।