Bizzare

অফিস থেকে ছুটি নিয়েও মিলল না রেহাই! রাত ১০টার পর মিটিংয়ে না আসায় বসের কোপে তরুণ, ছেড়ে দিলেন চাকরিও

ছুটির দিনে অফিসের কোনও মিটিংয়ে থাকা যে বাধ্যতামূলক, সে ধারণা ছিল না তরুণের। ভুল বোঝাবুঝির জন্য ঊর্ধ্বতনের কাছে ক্ষমাও চান তিনি। কিন্তু তাঁর বস্ কোনও কথাই শুনলেন না।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:১৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাইরে গিয়েছিলেন তরুণ। কিন্তু ছুটি নেওয়ার পরেও অফিসের ঊর্ধ্বতন পিছু ছাড়লেন না তাঁর। তরুণের ছুটির দিনেও তাঁকে রাত ১০টার পর মিটিংয়ে যোগ দিতে বলেছিলেন। তরুণ যেখানে যাচ্ছিলেন, সেখানে কোনও নেটওয়ার্ক থাকবে না, তা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। তবুও তাঁর বস্ কোনও কথা শুনতে নারাজ। পরিবর্তে তরুণকে বকাঝকা করতে শুরু করলেন তিনি। অফিসের ঊর্ধ্বতনের এমন আচরণ আর সহ্য করতে পারলেন না তরুণ। প্রতিবাদ জানিয়ে চাকরি ছেড়ে দিলেন তিনি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ঘটনার উল্লেখ করে পোস্ট করা হয়েছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

Advertisement

‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে নিজের পেশাগত জীবনের একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন তরুণ। তিনি মুম্বইয়ের একটি অফিসে কাজ করেন। কিন্তু তাঁর সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকায় থাকেন। আমেরিকার সময় অনুযায়ী মিটিংয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন ঊর্ধবতন। তরুণের দাবি, তিনি অফিস থেকে ছুটি নিয়ে রায়গড় বেড়াতে গিয়েছিলেন।

নেটওয়ার্কের অসুবিধা হতে পারে সে কথা আগে থেকেই ঊর্ধ্বতনকে জানিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবুও, তরুণের ছুটির দিনে তাঁর বস্ রাত ১০টার পর তাঁকে মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। তরুণ নিজের পরিস্থিতির কথা আবার জানালে তাঁর উপরে রেগে যান ঊর্ধ্বতন। তরুণ জানান যে, অফিস থেকে তিনি ছুটি নিয়েছিলেন।

Advertisement

ছুটির দিনেও অফিসের মিটিংয়ে থাকা যে বাধ্যতামূলক, সে ধারণা ছিল না তরুণের। ভুল বোঝাবুঝির জন্য ঊর্ধ্বতনের কাছে ক্ষমাও চান তিনি। কিন্তু তাঁর বস্ কোনও কথাই শোনেননি। তরুণকে পাল্টা বললেন, ‘‘এ ভাবে কাজ হয় না। আমি তোমাকে নিয়ে খুব হতাশ।’’ তরুণ তাঁর ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে চ্যাটের ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, ছুটির দিনে অসময়ে মিটিংয়ে যোগ দিতে বলা উচিত কাজ নয়। এমনকি, অধস্তনের সঙ্গে এমন আচরণ করাও ঠিক নয়।

তরুণের অভিযোগ, বস্ কোনও মেসেজ পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে উত্তর না পেলে মুহূর্তের মধ্যে ফোন করতে থাকেন। যত ক্ষণ না তাঁর ফোন ধরা হচ্ছে, তত ক্ষণ তিনি ফোন করে যাবেন। এই পরিবেশে কাজ করতে পারছিলেন না তরুণ। তাই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে নোটিস পিরিয়ডে রয়েছেন তরুণ। তরুণের এই পোস্ট পড়ে এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘অফিসের চাপ সামলাতে গেলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা যাবে না। ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকে না। দিনের পুরোটা সময়ই যেন অফিসের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement