—প্রতীকী ছবি।
বাড়ির বাগানে সুইমিং পুল তৈরির জন্য বাগানে মাটি খুঁড়ছিলেন এক ব্যক্তি। কিছুটা খুঁড়তেই একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে থাকা ধাতব বস্তু উঠে আসে। সেটি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় ওই ব্যক্তির। মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হল কুবেরের ধন। ফ্রান্সের এক ব্যক্তি পাঁচটি সোনার বাট ও প্রচুর সোনার মুদ্রার খুঁজে পেয়েছেন তাঁর বাড়ির বাগানে। সেই সোনার আনুমানিক মূল্য ৮ লক্ষ ডলার। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন ফরাসি নাগরিক।
সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে বাড়ির বাগানে সুইমিং পুল বানাতে চেয়েছিলেন লুই (নাম পরিবর্তিত) নামের এক ব্যক্তি। গত মে মাসে মাটি খোঁড়া আরম্ভ হতে সেখানে অতুল ঐশ্বর্যের সন্ধান পান তিনি। ফ্রান্সের নিউভিল-সুর-সাওন শহরের বাসিন্দা সোনার সন্ধান পেয়েই স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সোনাগুলি চোরাই কি না তা পরীক্ষা করার পর লুইকে সেই সোনার বাট ও মুদ্রাগুলি রাখার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। পুলিশ জানিয়েছে, সোনাটি বৈধ ভাবেই কেনা হয়েছিল। প্রায় ১৫ বা ২০ বছর আগে কাছের একটি শোধনাগার থেকে গলিয়ে বাটের আকার দেওয়া হয়েছিল। এটির কোনও প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য নেই। সম্পদটি ব্যক্তিগত বলে সিলমোহর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাগানের পূর্ববর্তী মালিক মারা গিয়েছেন। তাই মাটিতে পোঁতা গুপ্তধন কোথা থেকে এল তা অমীমাংসিত ধাঁধা হয়ে আছে।
ফরাসি নাগরিকদের জমিতে সোনা খুঁজে পাওয়ার খবর বিরল নয়। এই বছরের শুরুতে, ফ্রান্সের আউভার্গেন-রোন-আল্পেস অঞ্চলের ৫২ বছর বয়সি কৃষক মিশেল ডুপঁ একটি সোনার খনি আবিষ্কার করেন। সেখানে আনুমানিক ১৫০ টন খাঁটি সোনা পোঁতা ছিল। সেই সোনার মূল্য প্রায় ৪০০০ কোটি ইউরো। ফরাসি আইন অনুযায়ী কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে কোনও গুপ্তধন পাওয়া গেলে তার মালিকানা জমির মালিকেরই হবে।