bizarre

ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে অফিসে না আসার ‘অপরাধে’ জরিমানা! বিতর্ক পোশাকবিধির ‘ফতোয়া’ ঘিরে

উৎসব উদ্‌যাপনের দিনে ফর্মাল পোশাক পরে আসার জন্য জরিমানা গুনতে হল এক কর্মীকে। সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে এই নিয়ে ঝামেলায় জড়ালেন সেই কর্মী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৩:০৯
Share:

—প্রতীকী ছবি।

কেমন পোশাক পরে আসতে হবে, সেই নিয়ে অনেক অফিসেই কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, যা মেনে চলতে হয় কর্মীদের। বহু কর্পোরেট অফিসেই পোশাক বিধি নিয়ে কড়াকড়ি থাকে। তবে উৎসব উদ্‌যাপনের দিনে ফর্মাল পোশাক পরে আসার জন্য জরিমানা গুনতে হল এক কর্মীকে। সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে এই নিয়ে ঝামেলায় জড়ালেন সেই কর্মী। নিজের অভি়জ্ঞতার কথা তরুণ ভাগ করে নিয়েছেন সমাজমাধ্যম রেডিটে। তিনি পোস্টে লেখেন, অফিসের উৎসব উদ্‌যাপনে ‘ঐতিহ্যবাহী পোশাক’ না পরার জন্য মানবসম্পদ বিভাগ তাঁকে ১০০ টাকা জরিমানা করেছে। তিনি তাঁর ম্যানেজার কাছে এই নিয়ে অভিযোগও করেন বলে জানান ওই তরুণ। তাঁর ম্যানেজার মানবসম্পদ বিভাগকে অনুরোধ করেন সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। তাতে অবশ্য কর্ণপাত করেনি মানবসম্পদ বিভাগ। সেই নিয়ে রীতিমতো লড়াই হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মী।

Advertisement

তরুণ পোস্টে লেখেন, সংস্থায় তাঁর যোগদানের পর ২৮ দিন পেরিয়েছে। গুডি পওয়া উপলক্ষে ২৮ মার্চ শুক্রবার এটি উদ্‌যাপন করার পরিকল্পনা করেছিল সংস্থা। সকল কর্মীকে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরতে অনুরোধ করে একটি ই-মেল পাঠানো হয়েছিল। তরুণ জানান, তিনি এই শহরে নতুন, অফিসও নতুন। তাঁর কাছে পরার মতো কোনও ঐতিহ্যবাহী পোশাক ছিল না। এ ছাড়া যে হেতু মাসের শেষ, তাই তাঁর কাছে পোশাক কেনার পর্যাপ্ত টাকাও ছিল না। তিনি একটি সাদা শার্ট এবং জিন্‌স পরে সে দিন অফিসে যান। তাঁকে ড্রেস কোড অনুসরণ না করার জন্য ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়। মানবসম্পদ বিভাগ তাঁর সঙ্গে এই বিষয়টি লড়াইয়ের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। কী ভাবে তিনি এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন তা জানতে চান পোস্টে।

তিন দিন আগে করা এই পোস্ট ঘিরে বেশ চর্চা চলছে। ভাইরাল হয়েছে পোস্টটিও। এক জন লিখেছেন, ‘‘পোশাকের বিধির ভিত্তিতে এক জন কর্মচারীকে জরিমানা করা বেআইনি। আপনি আদালতে যেতে পারেন এবং মোটা অঙ্কের জরিমানা চাইতে পারেন।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, “এইচআরকে তার নিজের জায়গা বুঝিয়ে দিন। এটা ওদের বাড়ির পার্টি নয়।” তৃতীয় জন লিখেছেন, ‘‘যে কারণেই হোক না কেন অর্থ সংগ্রহ করা নীতি লঙ্ঘন এবং অনৈতিক আচরণের আওতায় পড়ে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement