ছবি: সংগৃহীত।
অকালবৃষ্টিতে বেসামাল রাজধানী। ঝড়ের দোসর শিলাবৃষ্টি। তীব্র তাপপ্রবাহের পর বুধবার সন্ধ্যা থেকে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায়। সেই ঝড়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে যায় নয়ডার বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক আবাসন। বহুতলের ফ্ল্যাটের কাচের জানলা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। দুমড়ে-মুচড়ে যায় বহুতলের বিভিন্ন অংশ। গাছ ভেঙে পড়ার ফলে মৃত্যু হয় ২২ বছরের এক তরুণের। নয়ডার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চলে প্রকৃতির ধ্বংসযজ্ঞ। ঝড়ের পর আবাসন ও রাস্তাঘাটের কয়েকটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নয়ডার একটি বহুতলের প্রধান গেটটি ঝড়ের আঘাতে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। একই দশা বেশ কয়েকটি বহুতলের ভিতরের অংশে। প্রবল বাতাস ও শিলাবৃষ্টির দাপটে জানালার কাচগুলি ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। নেটিজেনরা দাবি করেছেন যে ঝড়ের সময় নয়ডায় একাধিক বহুতলের ফ্ল্যাটগুলির জানালা এবং দরজা তাসের ঘরের মতো ভেঙে গিয়েছে। ঘণ্টায় ৭৯ কিলোমিটার বেগে ঝড় হয়েছে নয়ডায়। সেই দাপটে একটি হোর্ডিংও ভেঙে পড়ে। বহুতলে কাচ ভেঙে পড়ায় চোট পেয়েছেন অনেক বাসিন্দাই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্নমানের জিনিসপত্র দিয়ে বহুতলগুলি তৈরি করা হয়েছে।
অন্য দিকে, ভারী বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানী দিল্লির নানা রাস্তায় জল জমে যায়। শুরু হয় যানজট। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দিল্লিতে ১২.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। দুর্যোগ শুরু হওয়ার পরেই দিল্লির বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা রাজধানীর একাংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। সংস্থাটির তরফে জানানো হয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সেই কারণেই এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।