jammu kashmir

Paravaiz: এক পায়ে দু’কিমি পথ পেরিয়ে স্কুল! সীমার মতো সীমাহীন লড়াই কাশ্মীরের পারভেজেরও

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে একটি হুইল চেয়ার পেয়েছে সে। কিন্তু পাহাড়ি রাস্তায় সেই হুইল চেয়ারে যাওয়া অসম্ভব। তাই সেটা কোনও কাজেই লাগে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জম্মু-কাশ্মীর শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২২ ১০:২৮
Share:

এ ভাবেই স্কুলে যায় পারভেজ। ছবি: সংবাদ সংস্থা।

হাঁটাপথে স্কুল প্রায় ২ কিলোমিটার। তবে পাহাড়ি রাস্তায় সেই পথ এক পায়ে পেরিয়ে আসে পারভেজ। প্রতিদিন চার কিলোমিটার পথ এক পায়ে দৌড়তে দৌড়তে সে স্কুলে পৌঁছয়। জম্মু-কাশ্মীরের হান্দওয়াড়ার স্কুলের এই ছাত্রের ছবি ভাইরাল নেটমাধ্যমে। সম্প্রতি বিহারের জামুইয়ের সীমা নামে একটি ছোট্ট মেয়ের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল নেটমাধ্যমে। তার বাবা-মা ভিন্‌রাজ্যে গিয়ে দিনমজুরের কাজ করেন। সীমারা পাঁচ ভাই-বোন। সীমার স্বপ্ন বড় হয়ে শিক্ষক হবে। স্কুলেও ভর্তি হয়েছিল সে। কিন্তু বছর দুয়েক আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় পা খোয়াতে হয় সীমাকে। কিন্তু সে তার পরিবারকে জানায়, স্কুলে যাবে এবং এক পা নিয়েই। তার জেদের কাছে হার মানতে হয় পরিবারকেও। এক পা নিয়েই ফের শুরু হয় সীমার স্বপ্ন গড়ে তোলার সফর। রোজ এক কিলোমিটার পিঠে ব্যাগ নিয়ে এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয় সে। এই ভিডিয়ো অনেকেই শেয়ার করেন।সম্প্রতি অভিনেতা সোনু সুদ তাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেন।সীমার মতোই খুব কম বয়সে একটি দুর্ঘটনায় বাঁ পা হারিয়েছিল পারভেজ। এখন হান্দওয়াড়ার একটি সরকারি স্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্র সে। পড়াশোনায় দারুণ আগ্রহী ১৪ বছরের পারভেজ চায় একটি কৃত্রিম পা। যাতে স্কুল যেতে সুবিধা হয় তার। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সে বলে, ‘‘এক পায়ে প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তা পার করি আমি। কিন্তু রাস্তা ভাল না। যদি একটা কৃত্রিম পা পেতাম, স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে পারতাম। জীবনে বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখি।’’পারভেজ জানায়, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে একটি হুইল চেয়ার পেয়েছে।

Advertisement

কিন্তু পাহাড়ি রাস্তায় সেই হুইল চেয়ারে যাওয়া অসম্ভব। তাই সেটি কোনও কাজেই লাগে না তার।২ কিলোমিটার রাস্তা এক পায়ে প্রায় ছুটতে ছুটতে যাওয়া-আসা করতে শরীরের কষ্ট হয়। স্কুলে পৌঁছতেই ঘামে ভিজে যায় ইউনিফর্ম। ক্রিকেট, ভলিবল এবং কবাডি খেলতে ভালবাসে পারভেজ। কিন্তু সেটা আর এই এক পায়ে হয়ে ওঠে না। সরকারি সাহায্যের প্রত্যাশায় রয়েছে এই কিশোর।পারভেজের বাবাও জানান, ছেলের জন্য সরকারি সাহায্য চেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার চেয়ে পরিশ্রমী। জীবনে ভাল কিছু করতে চায় ও।’’এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পর পারভেজকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে বেশ কিছু সংগঠন। ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে তার পাশে দাঁড়ানোর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন