ছবি: সংগৃহীত।
১৯ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো। আর তা নিয়েই ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। এক দম্পতির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে নেটাগরিকদের মধ্যে। না জেনেই অনেকে ভিডিয়োটি মোবাইলে ডাউনলোড করে ফেলছেন বা শেয়ার করছেন সমাজমাধ্যমে। আর তাতেই ঘনাচ্ছে বিপদের আশঙ্কা। বিপজ্জনক ভিডিয়োটি নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করতে এগিয়ে এলেন হরিয়ানা এনসিবি সাইবার সেলের এক আধিকারিক। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে ১৯ মিনিটের ভিডিয়োটি শেয়ার বা ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অমিত কুমার নামের ওই পুলিশ আধিকারিক। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি জানান, ১৯ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের যে ভিডিয়োটি এক্স ও ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে তা পুরোপুরি কৃত্রিম মেধা বা এআই দিয়ে তৈরি। যদি কেউ এই ভিডিয়ো শেয়ার করেন, তা হলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে মামলা দায়ের হতে পারে। শাস্তিস্বরূপ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এর আগে ১৯ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের এই ভিডিয়োটি শেয়ার করে বহু নেটাগরিকই দাবি করেছিলেন এটি এক তরুণ দম্পতির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের এমএমএস। যদিও এর বিষয়বস্তু সম্পর্কেও বিভিন্ন রকম দাবি রয়েছে। নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ‘১৯ মিনিটের ভাইরাল ভিডিয়ো’ সম্পর্কে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করেন। যদিও আইনি হস্তক্ষেপের পর মূল ভিডিয়োটি সরিয়ে ফেলা হয়। আর এই সুযোগটিই নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা। জনসাধারণের কৌতূহলকে পুঁজি করে এআই দিয়ে তৈরি ভুয়ো সংস্করণ বানিয়ে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের লিঙ্কে ম্যালঅয়্যার থাকার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
বিভ্রান্তিকর ট্যাগ সম্পর্কিত যে কোনও লিঙ্ক বা বার্তা উপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশও। অমিতের ভিডিয়োটি ‘ওয়ার্দিওয়ালা০০৭’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। কয়েক কোটি বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। ২২ লক্ষের বেশি লাইক জমা পড়েছে তাতে।