ছবি: সংগৃহীত।
১১ দিনে পড়ল ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাত । দু’দেশের মধ্যে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ার দৃশ্য সামনে এসেছে গোটা বিশ্বের। ঘাত-প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি এক অপরকে দিয়ে চলেছে দুই যুযুধান পক্ষই। ইরানের পরমাণুকেন্দ্র এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। তাতে নিহত হয়েছেন ইরানের শীর্ষ সেনাকর্তা। প্রাণ গিয়েছে ছ’জন পরমাণু বিজ্ঞানীরও। সেই হামলার পর থেমে নেই তেহরানও। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে। তেমনই একটি ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে ইজ়রায়েলের আশদোদ শহরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার মুহূর্তটি। একটি গাড়ির সামনে থাকা ক্যামেরায় (ড্যাশক্যাম) রেকর্ড হয়েছে হামলার ছবি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে রাস্তার পাশে একটি চলন্ত গাড়ির খুব কাছেই প্রবল বিস্ফোরণ এবং আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। হামলার সঙ্গে সঙ্গে পাথর এবং ধ্বংসাবশেষ বাতাসে উড়ে ছিটকে ছিটকে পড়তে থাকে গাড়ির উপর। গাড়ির সামনের কাচ ধুলোয় ঢেকে যায়। গাড়িচালক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের ভয়ে সেই স্থান থেকে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে সরে পড়েন। পরে জানা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি আশদোদের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আঘাত হেনেছিল। সেই হামলার ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই হামলায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। ইরান প্রায় ৪০ মিনিট ধরে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার সময় উত্তর ইজ়রায়েল জুড়ে বিপদসঙ্কেত বেজে ওঠে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার সকালে জেরুসালেমে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। জেরুসালেমের আকাশে একটি ক্ষেপণাস্ত্রও দেখা গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। ইজ়রায়েলি সেনার সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছে, সকাল থেকেই ইরান থেকে ছুটে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র। বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে।