Uttar Pradesh

ফুলশয্যার দু’দিন পর সন্তানের জন্ম দিলেন নববধূ! মাথায় হাত নতুন বরের

সকালে উঠে শ্বশুরবাড়ির সকল সদস্যকে চা পরিবেশন করেন তরুণী। কিন্তু সন্ধ্যাবেলা থেকেই তরুণীর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫ ১৫:৪০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

একসঙ্গে কবে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করবেন সে স্বপ্ন বহু দিন ধরে দেখছিলেন তরুণ-তরুণী। ধুমধাম করে বিয়েও হল তাঁদের। কিন্তু ফুলশয্যার দু’দিন পরেই মাথায় হাত নতুন বরের। সন্তানের জন্ম দিয়ে ফেললেন নববধূ। বুধবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলার জাসরা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত সোমবার বরযাত্রী নিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে করতে আসেন পাত্র। গভীর রাতে সিঁদুরদানের পর তার পরের দিন বরের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি রওনা হন নববধূ। সারা দিন ধরে বিয়ের নানা আচার-অনুষ্ঠান চলে। নতুন বৌকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন আত্মীয়স্বজন থেকে পাড়াপড়শিরা। গত বুধবার সকালে উঠে শ্বশুরবাড়ির সকল সদস্যকে চা পরিবেশন করেন তরুণী। কিন্তু সন্ধ্যাবেলা থেকেই তরুণীর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান যে, তরুণী অন্তঃসত্ত্বা। দ্রুত অস্ত্রোপচার করানো প্রয়োজন তাঁর। দু’ঘণ্টা পর সন্তানের জন্ম দেন তরুণী। কিন্তু এই ঘটনায় মাথায় হাত পড়ে নতুন বরের। তাঁর দাবি, বিয়ের পর মাত্র দু’দিন একসঙ্গে কাটিয়েছেন তাঁরা। ফুলশয্যা হয়ে গিয়েছে ঠিক-ই। কিন্তু এই সন্তানের পিতা যে তিনি হতে পারেন না তা দাবি করেন তরুণ। তরুণের পাশাপাশি সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁর বাড়ির লোকেরাও। অন্য দিকে, তরুণীর বাপের বাড়ির তরফে জানানো হয়েছে যে, এই সন্তান তরুণীর স্বামীর-ই। তরুণীর পিতার দাবি, গত বছর মে মাস থেকে তাঁর মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। তখন থেকেই তরুণের সঙ্গে মেলামেশা করতেন তাঁর কন্যা।

Advertisement

কিন্তু শ্বশুরের দাবি অস্বীকার করেছেন তরুণ। তাঁর পাল্টা দাবি, মাত্র চার মাস আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তাঁদের। তাঁর আগে নাকি তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হননি তিনি। তরুণ আরও জানিয়েছেন যে, বিয়ে উপলক্ষে যা খরচাপাতি হয়েছিল তা ফেরত চান না তিনি। কিন্তু যা উপহার তরুণীর বাড়িতে তাঁদের পরিবারের তরফে পাঠানো হয়েছিল, সেগুলি যেন অবিলম্বে ফেরত দেওয়া হয়। নচেৎ আইনের সাহায্য নেবেন তরুণ।

তরুণের পরিবারের বিরুদ্ধে পণ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তরুণীর মা। গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে সমাধান চাইতে গেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সদ্যোজাতকে নিয়ে তরুণী যেন তাঁর বাপের বাড়িতে ফিরে যান। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বর্তমানে সন্তানের সঙ্গে নিজের বাড়িতেই রয়েছেন তরুণী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement