ছবি: সংগৃহীত।
সাফারি চলছে। খোলা জিপে বসে রয়েছেন পর্যটকেরা। হঠাৎ করে জিপে চড়ে বসল এক শ্বাপদ! সামনেই বসেছিল এক নাবালক। তার একেবারে মুখের সামনে এসে বসে পড়ল এক চিতা। ভয়ে শিশুটির আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড়। শিরদাঁড়ায় শিহরন জাগানো সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ভিডিয়োটি আফ্রিকার কোনও সাফারি পার্কে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে বলে নেটাগরিকদের দাবি।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, হঠাৎ করেই সাফারি গাড়িতে একটি চিতার আবির্ভাব ঘটে। লাফ দিয়ে হিংস্র প্রাণীটি গাড়ির উপরে উঠে বসে। সামনের আসনেই বসে ছিল একরত্তি। শিশুটির কাছে চিতাটি আসতেই গাড়ির সবাই পাথরের মূর্তির মতো বসে থাকেন। ভয়ে দুশ্চিন্তায় সকলেরই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। সবচেয়ে ভীত হয়ে পড়ে নাবালকটি। তবে উপস্থিত বুদ্ধিই প্রাণ বাঁচিয়ে দেয় তার। মুখের সামনে সাক্ষাৎ যমকে দেখেও সে বিচলিত হয়নি। সে-ও পাথরের মতো নিশ্চল অবস্থায় বসে থাকে। শিকার আসল না কি নকল, তা বুঝে উঠতে পারেনি চিতাটিও। শেষে পরীক্ষা করার জন্য শিশুটির মুখ চাটতে শুরু করে। অসীম সাহসের পরীক্ষা দেয় চিতার সামনে বসে থাকা শিশুটি। শেষে চিতাটি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। শিকার ছেড়ে গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে বনের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়।
ভিডিয়োটি ‘রেবেলিয়াসপরি০৮’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। হাজার হাজার বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। অসংখ্য লাইক, শেয়ার এবং মন্তব্য জমা পড়েছে তাতে। এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী দাবি করেছেন যে এটি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর ভিডিয়ো। এর সত্যতা নেই। অন্য এক জন মন্তব্য করেছেন ‘‘এটি বিদেশে সাফারি পার্কের একটি সাধারণ ঘটনা।” তৃতীয় নেটাগরিকের মন্তব্য, ‘‘মানুষের চেয়ে বিপজ্জনক আর কোনও প্রাণী নেই।’’