ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
আদরের কন্যাকে চমকে দিতে উপহার দিতে চেয়েছিলেন প্রৌঢ়। তাই তিল তিল করে অর্থ সঞ্চয় করছিলেন। পেশায় কৃষক তিনি। তাই একসঙ্গে বেশি টাকা জমাতে পারতেন না প্রৌঢ়। প্রতি দিন অল্প অল্প করে কয়েন জমাতেন। টানা ছ’মাস একই ভাবে বাড়িতে কয়েন জমিয়ে গিয়েছেন। ছ’মাস পর তাঁর ঝুলিতে জমা পড়ে ৪০ হাজার টাকার কয়েন। তা দিয়েই মেয়েকে স্কুটার উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রৌঢ়। কয়েনভর্তি থলি নিয়ে স্কুটার কিনতে দোকানে যান তিনি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ছত্তীসগঢ়ের যশপুর জেলার বাসিন্দা সেই কৃষক। দামি স্কুটার কেনার মতো টাকা ছিল না তাঁর কাছে। কিন্তু মেয়েকে স্কুটার উপহার দেওয়ার বড় সাধ জেগেছিল প্রৌঢ়ের। প্রতি দিন নিয়ম করে প্রাত্যহিক খরচ থেকে কয়েকটি কয়েন আলাদা জায়গায় জমাতে শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ ছ’মাস ধরে কয়েন জমিয়ে ৪০ হাজার টাকা সঞ্চয় করে ফেলেছিলেন। তার পর সেই কয়েনভর্তি ব্যাগ নিয়ে মেয়ের সঙ্গে স্কুটারের দোকানে যান প্রৌঢ়।
দোকানের কর্মীদের হাতে ধরিয়ে দেন কয়েনভর্তি ব্যাগ। ৪০ হাজার টাকা খরচ করে মেয়ের জন্য স্কুটার কিনে ফেলেন তিনি। বাবার কাছে এই উপহার পেয়ে আনন্দে হাততালি দিয়ে ওঠেন তাঁর কন্যা। দোকানের কর্মীরা কয়েন গুনতে ব্যস্ত ছিলেন। টেবিলে যেন কয়েনের পাহাড় তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমের পাতায় প্রৌঢ়ের প্রশংসা করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক জন লিখেছেন, ‘‘পিতারাই তাঁদের সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সব রকম কষ্ট সহ্য করতে পারেন।’’