ছবি: সংগৃহীত।
ই-কমার্স প্লাটফর্মে দেড় লক্ষ টাকার আইম্যাক অর্ডার দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই অর্ডারটি গ্রাহকের হাতে তুলে দিতে বার বার প্রত্যাখ্যান করেন পণ্য সরবরাহকারী কর্মী। এখানেই শেষ নয়, গ্রাহক পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর তিন-চার জন সঙ্গীকে গ্রাহকের অফিসে এসে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তি জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা থেকে ১.৫ লক্ষ টাকার একটি অ্যাপ্ল আইম্যাক অর্ডার করেন। কিন্তু ডেলিভারি কর্মী পণ্য দিতে না চেয়ে নিজেই অর্ডার প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন গ্রাহক। গ্রাহকের অভিযোগ নস্যাৎ করে দেন ডেলিভারি কর্মী। গ্রাহক পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা তুলতেই হুমকি দিতে শুরু করেন কর্মী। কিছু ক্ষণ পর তিনি আরও তিন-চার জনকে নিয়ে গ্রাহকের ঠিকানায় হাজির হন। তাঁকে মারধর করার ভয় দেখান কর্মী ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গেরা। সেই ঘটনা ধরা পড়েছে গ্রাহকের অফিসে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায়।
ভিডিয়োয় ওই গ্রাহক ব্যাখ্যা করেছেন যে তিনি কোনও পার্সেল প্রত্যাখ্যান করেনি। অথচ তাঁর কাছে দু’বার মেসেজ আসে যে তিনি আইম্যাকের ডেলিভারি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ডেলিভারি কর্মী নিজেই অর্ডারটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। গ্রাহক তাঁকে প্রতারক বলে অভিযোগ করতেই কর্মী অভব্য আচরণ করতে শুরু করেন। পরে অফিসে ফিরে এসে গালিগালাজ করেন ওই কর্মী। গ্রাহককে হুমকি দেন কোনও দিনই তিনি তাঁর অর্ডারটি হাতে পাবেন না। সংশ্লিষ্ট সংস্থায় অভিযোগ জানানোর পরও কোনও সদুত্তর পাননি। বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় বার আইম্যাকটি অর্ডার দেন। পরবর্তী কালে তিনি পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানান। বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ সমাজমাধ্যমে গ্রাহকের পোস্টে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পুলিশ অভিযোগ নথিভুক্ত করবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ। পরে অ্যামাজ়নও পোস্টটিতে মন্তব্য করে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।