হাসপাতালে অবনীকে বিয়ে করছেন শ্যারন। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
বিয়ে করতে যাওয়ার আগে গাড়ি দুর্ঘটনা। বিয়ের মণ্ডপের পরিবর্তে হাসপাতালে পৌঁছোলেন কনে। তবে বিয়ে বাতিল করল না দুই পরিবার। হাসপাতালেই কনের সিঁথিতে সিঁদুর দিলেন পাত্র। সাক্ষী থাকলেন চিকিৎসক এবং নার্সেরা। আবেগঘন ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোচি শহরে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলাপ্পুঝার স্কুলশিক্ষিকা অবনীর সঙ্গে শুক্রবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল পেশায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক শ্যারন ভিএমের। ভোর ৩টের দিকে অবনী তাঁর কয়েক জন আত্মীয়কে নিয়ে বিয়ের সাজসজ্জার জন্য কুমারকোমে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝরাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারান তাঁদের গাড়ির চালক। একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় গাড়িটি। জখম হন অবনী। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড় জমে যায়। অবনী এবং বাকিদের উদ্ধার করে কোট্টায়াম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। মেরুদণ্ডে গুরুতর চোটের কারণে অবনীকে ৭০ কিলোমিটার দূরে এর্নাকুলামের লেকশোর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
অবনীর দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছোন শ্যারন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। দীর্ঘ আলোচনার পর দুই পক্ষই বিয়ে বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক হয়, হাসপাতালেই বিয়ে করবেন অবনী এবং শ্যারন। সেই মতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতিও চেয়ে নেন তাঁরা। এর পরেই চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালের জরুরি বিভাগেই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পূর্ব নির্ধারিত সময়েই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা অবনীর গলায় মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেন শ্যারন। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘সলার নিউজ়’ নামের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের অনেকেই নবদম্পতির মঙ্গল কামনা করেছেন। দুই পরিবারকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। এক নেটাগরিক ভিডিয়ো দেখার পর লিখেছেন, ‘‘সত্যিকারের ভালবাসা একেই বলে। মানবতা এখনও বেঁচে আছে।’’