রাস্তার ধারে হয়রানির শিকার তরুণী। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
রাস্তার মাঝখানে জনসমক্ষে তরুণীর ওড়না ধরে টানাটানি, নির্যাতন! ভিড় জমলেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেলেন না কেউই। তেমনই একটি ঘটনার ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোমতীনগরে। ভাইরাল হয়েছে ঘটনার ভিডিয়ো। হইচইও ফেলেছে। তবে তার থেকেও হইচই পড়েছে ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে লখনউ পুলিশের প্রতিক্রিয়া। যদিও ভি়ডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে প্রকাশ্য রাস্তায় এক তরুণীকে উত্ত্যক্ত করছেন এক যুবক। তরুণীর ওড়না ধরে টানাটানি করছেন তিনি। হাত ধরারও চেষ্টা করছেন। পাশে আরও কয়েক জন যুবক দাঁড়িয়ে। তাঁদের ঘিরে রাস্তায় মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে। যানজট তৈরি হয়েছে। অনেকে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করলেও তরুণীকে সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে যাননি। এর পর এক বাইকআরোহীকে বিষয়টি নিয়ে সরব হতে দেখা যায়। সেই সময়েই যুবকের হাত ছাড়িয়ে চলে যান তরুণী। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা কৌশাম্বীর সাংসদ পুষ্পেন্দ্র সরোজ। উত্তরপ্রদেশে মহিলার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ঘটনার কথা স্বীকার করে। তবে ঘটনাটিকে তরুণীর ‘পারিবারিক বিষয়’ বলে বর্ণনা করার পর বিতর্কের মুখে পড়েছে তারা। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ।
ভিডিয়ো প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে লখনউ পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘জানা গিয়েছে ৩ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটে। পারিবারিক বিরোধের কারণে ওই মহিলা রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। মহিলার ভাগ্নে তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করছিলেন। ভাগ্নের অনেক বোঝানোর পর, মহিলা তাঁর পরিবারের কাছে ফিরে গিয়েছেন।’’ সমাজমাধ্যম করা অন্য অভিযোগগুলি ‘মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন’ বলেও দাবি করেছে পুলিশ। আর তার পরেই নেটাগরিকদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশকে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘ভাগ্নে কি এ ভাবে জোরজবরদস্তি করতে পারেন? ওড়না ধরে টানতে পারেন?’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘পারিবারিক বিষয় হলেও রাস্তার ধারে এ ভাবে মহিলার ওড়না ধরে টানা অন্যায় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’ তৃতীয় জন আবার লিখেছেন, ‘‘অসাধারণ, লখনউ পুলিশ। কিন্তু একটা কথা বুঝতে পারছি না, এটা যদি মিথ্যা অভিযোগ হয়, তা হলে পুলিশ কেন সাফাই দিতে এসেছে?’’