ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
বাসস্ট্যান্ডে এসে বেঞ্চে বসেছিলেন এক তরুণী। ফোন ঘাঁটছিলেন এক মনে। এমন সময় উদয় হলেন দুই তরুণ। তরুণীর দু’পাশে বসে তাঁকে বিরক্ত করা শুরু করলেন। এর পর আরও এক তরুণ এসে যোগ দিলেন তাঁদের সঙ্গে। প্রথমে প্রতিবাদ করলেন তরুণী। এর পর উঠে দাঁড়িয়ে নিজের পোশাক খুলে দিলেন এক টানে। তরুণীকে দেখে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা হল ওই তিন তরুণের। কান ধরে ওঠবস করলেন তাঁরা! কিন্তু কী এমন হল যে, তরুণী পোশাক খুলতেই ওই অবস্থা হল তিন তরুণের? সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ঘটনাটি কোথায় এবং কবে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে, তা-ও ওই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট নয়।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক তরুণী হাঁটতে হাঁটতে এসে বাসস্ট্যান্ডের বেঞ্চে বসলেন। তাঁর হাতে ফোন। একমনে ফোন দেখছিলেন তিনি। এমন সময় দু’জন তরুণ এসে তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে কুকর্মে যোগ দেন আরও এক তরুণ। সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়ান তরুণী। গর্জে ওঠেন প্রতিবাদে। এর পর এক টানে খুলে ফেলেন পরনের পোশাক। দেখা যায়, সাধারণ পোশাকের তলায় পুলিশের পোশাক পরে রেখেছেন তরুণী। তিনি পেশায় পুলিশকর্মী জেনে ঘাবড়ে যান তিন তরুণ। তরুণীর হাতে-পায়ে ধরে ক্ষমপ্রার্থনা করেন। কান ধরে ওঠবসও করেন তাঁরা। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘ডক্টর গুরমীত ভাটিয়া’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ৪৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়ো দেখেছেন। ভিডিয়োটি দেখার পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। ওই তরুণদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন অনেকে। অন্য দিকে নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, ভিডিয়োটি সাজানো। সামাজিক শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভিডিয়োটি বানানো হয়েছে। এক জন নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখে লিখেছেন, ‘‘উচিত শিক্ষা পেয়েছেন তিন তরুণ। ওদের কড়া শাস্তি পাওয়া উচিত।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘আমার কেন জানি না মনে হচ্ছে পুরো বিষয়টি সাজানো। আর তা যদি হয় তা হলে সামাজিক শিক্ষা দেওয়ার ভাল প্রয়াস। সকলেই ভাল অভিনয় করেছেন।’’