Chill guy meme

ক্রিপ্টোর দুনিয়াতেও পৌঁছে গেল ‘চিল গাই’! সমাজমাধ্যমের এই নতুন ট্রেন্ডের বিশেষত্ব কী?

কাল্পনিক এই চরিত্রের বিপুল জনপ্রিয়তার কারণ হল তার বাহুল্যবর্জিত সাজপোশাক। মানুষের মতো দু’পায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাদামি বর্ণের একটি কুকুর। পরনে তার আকাশি রঙের সোয়েটশার্ট, জিন্‌স এবং সাদা স্নিকার্স।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

সমাজমাধ্যমের নতুন ট্রেন্ড ‘চিল গাই’। ফেসবুক থেকে ইনস্টাগ্রাম, এমনকি এক্সের পাতাতেও এখন ‘চিল গাই’-এর রমরমা। হঠাৎ এই ট্রেন্ডটির উদয় হল কোথা থেকে? কে এই ‘চিল গাই’?

Advertisement

‘চিল গাই’-এর উৎপত্তি ২০২৩ সালে ফিলিপ বাঙ্কস নামের এক এক্স ব্যবহারকারীর হাত ধরে। তিনিই এই মিম চরিত্রটির চিত্রকার। তখন থেকেই এটি সমাজমাধ্যমের পাতায় ঘুরে বেড়ালেও, বর্তমানে সেটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কাল্পনিক এই চরিত্রের বিপুল জনপ্রিয়তার কারণ হল তার বাহুল্যবর্জিত সাজপোশাক। মানুষের মতো দু’পায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাদামি বর্ণের একটি কুকুর। পরনে তার আকাশি রঙের সোয়েটশার্ট, জিন্‌স এবং সাদা স্নিকার্স। কুকুরটির পোশাক তার স্বভাবের ‘কুল’ হাবভাবকে আরও ভাল করে ফুটিয়ে তুলেছে।

মূলত জেন জ়ি-দের কাছে এই কুকুরটি জীবনে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা নানা বিশৃঙ্খলার মধ্যেও মাথা ঠান্ডা রেখে এগিয়ে চলার প্রতীক হয়ে উঠেছে। কুকুরটির মুখের শান্ত ভঙ্গিমাই হোক কিংবা তার সাজ, নেটাগরিকেরা কুকুরটির নির্বিকারতায় নিজেদের খুঁজে নিয়েছেন। জীবনের নানা কঠিন মুহূর্তেও ‘চিল’ থাকাই হল ‘চিল গাই’য়ের কাজ। কোনও কিছুরই তোয়াক্কা না করে কী ভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়, সেটা শেখানোই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘চিল গাই’ মিমগুলির মূল উদ্দেশ্য।

Advertisement

‘চিল গাই’-এর একটি ভাইরাল হওয়া মিমে বলা হয়েছে, ‘‘যখন পরীক্ষা এগিয়ে আসছে জানার পরেও তুমি কোনও পড়াশোনাই করো না, তা হলে তুমি এক জন চিল গাই।’’

অন্য একটি ভাইরাল হওয়া মিমে আবার বলা হয়েছে, ‘‘একা একাই সিনেমা দেখতে এসেছি কারণ আমি এক জন চিল গাই, যে সিনেমার জাদু উপভোগ করতে ভালবাসে।’’

ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।

‘চিল গাই’-এর মহিলা সংস্করণ বানিয়েও মিম তৈরি করা হয়েছে। সে রকমই একটি মিমে লেখা হয়েছে, ‘‘যখন তুমি টাকা বাঁচানোর চেষ্টা করো, কিন্তু তুমি একজন চিল গার্ল যে নানা জিনিসের উপর পয়সা খরচ করতে ভালবাসে।’’

‘চিল গাই’-এর এই জনপ্রিয়তা ক্রিপ্টোর দুনিয়াতেও ঝড় তুলেছে। ডিজিটাল মুদ্রার বাজারে ‘চিল গাই’ নামের নতুন একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এসেছে। লঞ্চ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যার বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা।

অন্য দিকে, ‘চিল গাই’-এর চিত্রকার ফিলিপ বাঙ্কস নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, তাঁর এই সৃষ্টির উপর তিনি কপিরাইট করছেন। আইনের সাহায্য নিচ্ছেন তিনি। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই তিনি তাঁর প্রাপ্য লাভের জন্য দাবি রাখবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement