Wedding special 2022

মায়ের গয়না পরে বিয়ে, পুরনো সোনার গয়নার যত্ন কোন উপায়ে?

সোনা রাখার জন্য এক ধরনের বিশেষ কাগজ পাওয়া যায়। সোনার গয়না সেই কাগজে মুড়ে তার পরে গয়নার বাক্সে তুলে রাখুন। এতে গয়না ভাল থাকে। না হলে গয়না পরস্পরের সঙ্গে ঘষা খেয়ে জেল্লা নষ্ট হতে পারে।

Advertisement

এবিপি ডিজিটাল কনটেন্ট স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:০০
Share:

পুরনো সোনার গয়নার যত্ন

মায়ের গয়না পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসা- এ এক অন্য আবেগ। ঠিক যেন সেই ছোট্টবেলায় সরস্বতী পুজোয় মায়ের শাড়ি পরার মতো অনুভূতি। বিয়েতে বিপুল খরচের মধ্যে নতুন করে ভারী গয়না কেনার খরচ সামাল দেওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে অনেক সময়ে। সে ক্ষেত্রে মায়ের গয়নাই এক এবং অদ্বিতীয় উপায়। তবে সোনার গয়না সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পুরনো জেল্লা হারিয়ে ফেলে। কয়েকটি সহজ উপায়েই কিন্তু ফিরিয়ে আনা যেতে পারে সেই হারানো জেল্লা। গয়না হয়ে উঠবে একেবারে নতুনের মতো ঝকঝকে। তারই খোঁজ রইল এই প্রতিবেদনে।

Advertisement

প্রতিটি গয়নার জন্য বরাদ্দ থাকুক আলাদা বাক্স। সোনার হার একটি বাক্সে রইল, আবার শাঁখা বাঁধানো, পলা বাঁধানো, চুড়ি, বালা থাকুক আলাদা আলাদা বাক্সে। সোনা রাখার জন্য এক ধরনের বিশেষ কাগজ পাওয়া যায়। সোনার গয়না সেই কাগজে মুড়ে তার পরে গয়নার বাক্সে তুলে রাখুন। এতে গয়না ভাল থাকে। না হলে গয়না পরস্পরের সঙ্গে ঘষা খেয়ে জেল্লা নষ্ট হতে পারে। গয়না খোলার পরে শুকনো নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। চশমা পরিষ্কার করার জন্য যে কাপড় ব্যবহার করা হয় তা দিয়ে গয়না ভাল পরিষ্কার করা যায়। এতে ধুলো ময়লা যেমন দূর হয়, তেমনই গয়নার উজ্জ্বলতা অটুট থাকে। খেয়াল রাখবেন, গয়না পরিষ্কারের জন্য কোনও রকম রাসায়নিক যেন ব্যবহার করা না হয়।

অনেকেই ব্যাংকের লকারে বিয়ের গয়না রাখেন। কালেভদ্রে সেই গয়না বার করে পরা হয়। সে ক্ষেত্রে প্রতি ৬ থেকে ৭ মাস অন্তর গয়না পরীক্ষা করে নেওয়া ভাল। যদি লক্ষ করেন, জেল্লা আগের তুলনায় কমে গিয়েছে, তবে গয়না পালিশ করিয়ে নিন ভাল সোনার দোকানে। খেয়াল রাখবেন, গয়নায় ক্রিম বা সুগন্ধী যেন না লাগে। এগুলি গয়নার ধাতুতে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। ফলস্বরূপ সোনার দীপ্তি হারিয়ে যায়। তাই রূপটান সম্পূর্ণ হলে তবেই গয়না পরুন। আবার মেকআপ তোলার আগে সন্তর্পণে খুলে রাখুন গয়না। কোনও রূপটান সামগ্রীর সঙ্গে সোনার গয়না একসঙ্গে রাখবেন না।

Advertisement

এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement