ছিটমহলের রায়তদের জন্য ১৪ হাজার খতিয়ান

অধ্যাদেশ হোক বা আইন সংশোধন, কোচবিহারের ছিটমহলের বাসিন্দাদের জমির মালিকানা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ভূমি দফতর। 

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

অধ্যাদেশ হোক বা আইন সংশোধন, কোচবিহারের ছিটমহলের বাসিন্দাদের জমির মালিকানা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ভূমি দফতর। এখন ৫১টি ছিটমহলের বাসিন্দারা যে যেখানে রয়েছেন, সরকার তাঁদের সকলকে সেই জমির মালিকানা বা আরওআর দিয়ে দেবে। এ জন্য সব মিলিয়ে ১৪ হাজার খতিয়ান তৈরি করতে হবে বলে ভূমি দফতর সূত্রের খবর। ৫১টি ছিটমহলে জমি ছিল ৭১১০ একর। সরকারি পরিকাঠামো বাদ দিয়ে বাকি জমি বর্তমান দখলস্বত্বাধিকারীদের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হবে।

Advertisement

ভূমি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, স্বাধীনতার পর এ দেশে নতুন কোনও জমি যুক্ত হয়নি। সেই অর্থে স্থলসীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের ৭১১০ একর জমি ভারতের হাতে আসা ব্যতিক্রমী ঘটনা। এই জমি বাংলাদেশের রংপুর জেলার অধীনে ছিল। এখানকার বাসিন্দারাও বাংলাদেশি ছিলেন। কিন্তু ছিটমহলবাসীর কাছে কোনও জমিরই রেকর্ড ছিল না। ফলে ভারতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে সে বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানাচ্ছেন ভূমি দফতরের কর্তারা।

কী সেই প্রক্রিয়া? মাঠে-ময়দানে নেমে ছিটমহলের জমির সমীক্ষা করা হয়েছে। খানাপুরি কাম বুজারত বা কেবি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে জমির মানচিত্র, তার দখলস্বত্বাধিকারীদের বিবরণ। কিন্তু যাঁদের কাছে কোনও নথিই নেই, তাঁদের জমির মালিকানা ভূমি দফতরের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই আইনে কিছু সংশোধন জরুরি। ঠিক হয়েছে, বিধানসভায় সংশোধনী এনে বলা হবে, ছিটমহলে যে জমির দখল যাঁর কাছে রয়েছে, তাঁর নামেই সেটি রেকর্ড করে দেওয়া হবে। সমীক্ষাতে প্রায় ১৪ হাজার এমন রেকর্ড তৈরি হয়েছে।

Advertisement

ভূমি কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, আইন পাশ হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা। তাই এখন থেকেই খসড়া রায়তদের তালিকা ছিটমহলগুলিতে প্রকাশ করে দেওয়া হবে। যদি কোনও আপত্তি আসে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারও নিষ্পত্তি করা হবে। সেই কাজ শেষ হলেই মালিকানার দলিল পাবেন ছিটমহলবাসী। তবে সিলিং-অতিরিক্ত জমি কারও দখলে থাকলে সরকার তা খাস ঘোষণা করবে। যে সামান্য কিছু জমির দখল রাখাকে কেন্দ্র করে বিবাদ রয়েছে, আপাতত তাঁদেরও মালিকানার দলিল দেওয়া হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন