বিহার-অসমের বন্যা নিয়ে খোঁজ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলা নিয়ে আগ্রহ নেই কেন সেই প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য। পাল্টা যুক্তি সাজিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, পশ্চিমবঙ্গের কী অবস্থা তা জানায়নি নবান্ন। ফলে বাংলা নিয়ে অন্ধকারে নয়াদিল্লি।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে। তাতে কাজও হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়েই ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স(এনডিআরএফ)-এর ১৭টি দল দু’দফায় রাজ্যে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে ভয়াবহ দশা যে সব এলাকায়, সেখানে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে কেন্দ্রের এনডিআরএফ। এ নিয়ে রাজ্যের এক কর্তা জানান, এনডিআরএফ আসায় সুবিধা হয়েছে। কারণ, তাঁদের বিপর্যয় মোকাবিলার বিশেষ প্রশিক্ষণ রয়েছে। পাশাপাশি নিজেদের সরঞ্জাম, নৌকা নিয়ে তারা যে দ্রুততায় কাজ করতে পারছে তা অন্যরা পারছে না।
উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় উদ্ধার কাজের দায়িত্বে থাকা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট নিশীথ উপাধ্যায় বলেন, ‘‘হরিণঘাটার ২ নম্বর ও চেন্নাইয়ের ৪ নম্বর ব্যাটালিয়ানের জওয়ানদের নিয়ে ১৮টি দল গড়া হয়েছে। মালদহে ৮টি, উত্তর দিনাজপুরে ৬টি ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ৪টি দল কাজ করছে। দুর্গমতম এলাকায় উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিলি শুধু আমরাই করতে পেরেছি। উদ্ধারও করা হয়েছে বহু মানুষকে।’’
সূত্রের খবর, রাজ্যে এনডিআরএফের যে বাহিনী ছিল প্রাথমিকভাবে তাদেরই উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয়। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় বায়ুসেনার বিমান চেন্নাই থেকে আরও ৭টি দলকে দু’দিন আগে কলকাতায় নামিয়ে গিয়েছে। তারাও মালদহে পৌঁছেছে। চেন্নাইয়ে বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে এনডিআরএফের যে বাহিনী কাজ করেছিল, তারাই এখন মালদহ ও দুই দিনাজপুরে কাজ করছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘এনডিআরএফ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। কলকাতা পুলিশের হাতে এমন বাহিনী থাকলেও জেলাগুলিতে বিপর্যয় সামলানোর প্রশিক্ষিত বাহিনী প্রায় নেই। ফলে এনডিআরএফের ভূমিকা প্রশংসীয়।’’