namkhana

খুচরো নিয়ে গভীর ‘রহস্য’, ১২৫ বস্তা কয়েন উদ্ধার ডায়মন্ড হারবারে, পরে জানা গেল সবটাই সরকারি!

১ টাকার কয়েন ভর্তি ১২৫ বস্তা টাকা! ভুটভুটিতে ওই সব বস্তা নিয়ে উঠতেই এক ব্যক্তিকে ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্তের পর ভেদ হল ওই ‘কয়েন-রহস্য’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 নামখানা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ২১:২১
Share:

পঞ্চায়েত সমিতির কাজের জন্য প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা পেতেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। —নিজস্ব চিত্র।

ভুটভুটি বোঝাই সারি সারি বস্তা। আর তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা। মঙ্গলবার যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয় নামখানায়। ১ টাকার কয়েন ভর্তি একশোর বেশি বস্তা উদ্ধারের খবর পেয়ে স্থানীয়রা ভিড় জমাতে শুরু করেন। এমনকি ওই বস্তা নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকেও আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তবে পরে বিডিও অফিসের তরফে ভেদ করা হয় ‘খুচরো-রহস্য’।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার শ্যামপুর থানার মোল্লাহাট এলাকার বাসিন্দা জনৈক বিশ্বজিৎ সিংহ ইটের ব্যবসা করতেন। তাঁর সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার লালপোলের বাসিন্দা ‘নিউ লোকনাথ বিল্ডার্সের’ মালিক রাধাকৃষ্ণ মান্নার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। রাধাকৃষ্ণের কাছে ৩ লক্ষেরও বেশি টাকা পেতেন রাধাকৃষ্ণ। তাই ধার পরিশোধ করতে রাধাকৃষ্ণ ১ টাকার কয়েন ভর্তি ১২৫ বস্তা টাকা বিশ্বজিৎ সিংহকে দেন। প্রতিটি বস্তায় ছিল আড়াই হাজার টাকা।

ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন কুমার দে বলেন, ‘‘ওই টাকা আসলে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এলাকার এক ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা পেতেন রাধাকৃষ্ণ। ওই মর্মে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে একটি লিখিত তথ্য দেওয়া হয়।

Advertisement

নামখানা বিডিও অফিসের তরফে একটি চিঠিতে লেখা হয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির কাজের জন্য প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা পেতেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সমিতির হাতে টাকা ছিল ন। তাই পঞ্চায়েতের লিজ় দেওয়া ফেরিঘাট থেকে যত খুচরো টাকা আয় হয়েছে সেগুলোই বস্তা ভর্তি করে দেওয়া হয় ব্যবসায়ীকে। ওই সব কয়েন এসেছে ফেরি পারাপারের ভাড়া থেকে। মোট ১২৫টি বস্তায় ৩ লক্ষ ১২ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল।

এই খুচরো পয়সা উদ্ধারের ঘটনায় চিঠি দেওয়া হয় বিডিও অফিসের তরফে। —নিজস্ব চিত্র।

অন্য দিকে, বিশ্বজিৎ ওই বস্তাভর্তি কয়েন নিয়ে নৈনান ঘাট থেকে ভুটভুটিতে উঠতেই শুরু হয় ঝামেলা। হাওড়া যাওয়ার জন্য ভুটভুটিতে উঠেছিলেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু এতগুলো বস্তায় কয়েন নিয়ে তিনি কী ভাবে পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেন সহযাত্রীরা। তাঁরা খবর দেন রামনগর থানার পুলিশকে। পরে পুরো ঘটনার তদন্তের পর বিশ্বজিৎকে টাকা-সহ নিরাপত্তা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয় পুলিশ। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন ওই ব্যবসায়ীও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন