বিয়ের দশ মাসের মাথায় মৃত তরুণী, গ্রেফতার স্বামী

অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক তরুণীর। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর থানার রবীন্দ্রপল্লি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মীনাক্ষী দাস (১৮)। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অশোকনগর শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩৩
Share:

মীনাক্ষী দাস ও গোপাল দাস

অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক তরুণীর। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর থানার রবীন্দ্রপল্লি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মীনাক্ষী দাস (১৮)। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার রাতে মীনাক্ষীর মা গীতা দাসের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই তরুণীর স্বামী গোপালকে গ্রেফতার করেছে। মাত্র দশ মাস আগে হরিণঘাটার ঝিকরার বাসিন্দা মীনাক্ষীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অশোকনগরের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা গোপালের। নিজেরা পছন্দ করেই বিয়ে করেছিলেন।

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই গোপাল শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা এবং জিনিসপত্র নিয়ে আসার জন্য স্ত্রীর উপরে চাপ দিতে থাকে। শুরু হয় শারীরিক-মানসিক নির্যাতন।

Advertisement

গীতা বলেন, ‘‘শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের কথা মেয়ে আমাদের বলত। তবু আমরা ওকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে সংসার করতে রাজি করাতাম। জামাইকেও অনুরোধ করেছিলাম, মেয়েকে মারধর না করতে।’’

কিন্তু তারপরেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি গোপাল এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বলেও অভিযোগ। গীতা বলেন, ‘‘ওই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মেয়ে প্রতিবাদ করে। তাতে অত্যাচার আরও বেড়েছিল।’’

শুক্রবার বিকেলে এক ব্যক্তি ফোনে গীতাদের খবর দেন, মীনাক্ষী মারা গিয়েছেন। অশোকনগর হাসপাতালে দেহ রয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন তাঁরা।

পুলিশ জানিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজনই মীনাক্ষীকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে জানিয়ে দেন। পুলিশের দাবি, ওই তরুণীকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পুলিশের অনুমান, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন মীনাক্ষী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন