বাড়ছে নেশার ওষুধ বিক্রি, ধৃত দুই কলেজ ছাত্র-সহ ৩  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি স্বরূপনগর সীমান্ত এলাকাতে মাদক বিক্রি বেড়েছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা এই সমস্ত নেশার ট্যাবলেট বেশি কিনছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

স্বরূপনগর শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৪৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

নেশার ওষুধ এনে সীমান্ত লাগোয়া স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে চড়া দামে বিক্রির অভিযোগে দুই ছাত্র-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল স্বরূপনগর থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে একটি গাড়িও।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ইলিয়াস গাইন মণ্ডল ও আলিবুদ্দিন মোল্লা। তারা স্বরূপনগরের গোকুলপুর গ্রামের বাসিন্দা। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ধৃতদের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট ও তরল কোডাইন উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ির চালক রবিউল মোল্লার বাড়ি কাটাবাগান এলাকার চরপাড়া গ্রামে। রবিবার বিকেলে সীমান্তের ব্যারিকেড ভেঙে পালানোর সময়ে পুলিশ ধাওয়া করে তেঁতুলিয়া বাজার এলাকা থেকে তাদের ধরে। ধৃতদের জেরা করে সীমান্তের গ্রামে মাদক বিক্রি চক্রের অন্যতম পান্ডার নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। তার খোঁজ চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি স্বরূপনগর সীমান্ত এলাকাতে মাদক বিক্রি বেড়েছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা এই সমস্ত নেশার ট্যাবলেট বেশি কিনছে। তবে এর পিছনে একটি বড় মাথা কাজ করছে বলে জানতে পারে পুলিশ। ওই ব্যক্তি-সহ কয়েকজন পাচারকারীর সহযোগিতায় শুধু এলাকার গ্রামই নয়, এ সব নেশার ওষুধ বাংলাদেশেও পাচার হচ্ছে বলে জানা যায়। গত এক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকবার সীমান্তে কখনও সাইকেল-মোটরবাইক, কখনও বা ইঞ্জিন চালিত ভ্যান রিকশার ভিতর লুকিয়ে মাদক পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। উদ্ধার হয় নেশার ওষুধও। পুলিশ জানিয়েছে, এই সমস্ত নেশার ওষুধ বিক্রি করার জন্য দুষ্কৃতীরা স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের টার্গেট করে। নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে নেশার ওষুধ কিনতে বাধ্য করে ওই সমস্ত পড়ুয়াদের। তাদের মাধ্যমেই অন্যদের হাতে এই ওষুধ পৌঁছে যায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে সীমান্তের দিকে দ্রুত গতিতে যাওয়া চেষ্টা করে ওড়িশা থেকে আসা একটি গাড়ি। তেঁতুলিয়ায় পুলিশ ওই গাড়ি আটকাতে গেলে তার চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে ব্যারিকেড ভেঙে পালায়। কোনও রকমে নিজেকে রক্ষা করার পর সেখানে থাকা পুলিশকর্মীরা তার পিছু নেয়। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর গাড়িটি তেঁতুলিয়া বাজারের ভিড়ে আটকে যায়। পুলিশ ওই গাড়ির চালক-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। গাড়ির ভিতর থেকে বেশ কয়েক হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট এবং কোডাইন মিকচারের বোতল আটক করা হয়।

জেরায় পুলিশকে ধৃতরা জানায়, এলাকার এক প্রভাবশালীর নির্দেশে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নেশার ওষুধ বিক্রি করাই ছিল তাদের কাজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন