প্রতীকী ছবি
বনগাঁ ব্লকে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। মঙ্গলবার ব্লকের তিনজন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। বনগাঁর বিএমওএইচ মৃগাঙ্ক সাহা রায় বলেন, ‘‘মঙ্গলবার তিনজনের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। তিনজনই করোনা পজিটিভ। তাঁরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের স্কুল নিভৃতবাসে রাখা হয়েছিল।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত তিনজনের বাড়ি কালুপুর নহাটা এবং পাল্লা এলাকায়। তাঁদের নিউটাউনের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দিকে, নহাটা এলাকার আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হয়নি, এই অভিযোগে গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এই তিনজনকে ধরে বনগাঁ ব্লকে করোনা পজিটিভের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩ জন। বুধবার থেকে বনগাঁ ব্লকে উপসর্গ না থাকা মানুষদের লালারস সংগ্রহের কাজ শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর।
গোপালনগর ১ এবং ঘাটবাওর পঞ্চায়েত এলাকা থেকে এখনও কোনও করোনা পজ়িটিভ মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই সব এলাকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে কিনা, তা জানতে ১৮ জন উপসর্গহীন মানুষের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ৩০ জন বিএসএফ জওয়ানের লালারস সংগ্রহ করে নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
হাবড়ার শ্রীপুর এলাকায় এক যুবকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। হাবড়া পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক মানস দাস বলেন, ‘‘মঙ্গলবার ওই যুবকের রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি পজ়িটিভ। বাইরে থেকে এসে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। তাঁকে বারাসত কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ ভাঙড়েও দিন দিন বেড়ে চলেছে করোনার প্রকোপ। মঙ্গলবার ভাঙড় ১ ব্লকের চণ্ডীপুরে দু’জন মহিলার করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে একজন মহিলা গর্ভবতী। ভাঙড় ২ ব্লকের মাঝেরহাট, গাজিপুর, নাঙলবেঁকি, কাশীপুর এলাকায় নতুন করে সাতজন করোনা পজ়িটিভ রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কাশীপুরের মাঝেরহাট গ্রামে এক গর্ভবতী মহিলা-সহ চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে যে সমস্ত এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে, প্রশাসনের পক্ষ সেই সব এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। রোগীরা কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা খোঁজ করা হচ্ছে। ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, “ব্লক এলাকায় বেশ কিছু করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।”