—প্রতীকী চিত্র।
ছাত্রীকে গণধর্ষণ এবং তার বান্ধবীকে নগ্ন করে ভিডিয়ো করার অভিযোগে শোরগোল দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর সকল অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তাঁদের হাজির করানো হচ্ছে আদালত।
থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২০ নভেম্বর বাড়ির কাছে মোড়ের দোকানে ঘুগনি খেতে গিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্রী। সেখানে বাইক নিয়ে হাজির হন দুই পরিচিত যুবক। দুই বান্ধবীকে ঘোরানোর নাম করে বাইকে ওঠান তাঁরা। খানিক এ রাস্তা ও রাস্তা ঘুরে স্থানীয় একটি গ্যারাজে নিয়ে যাওয়া হয় দুই নাবালিকাকে। সেখানে কিছু ক্ষণ কথাবার্তা বলার পরে দুই ছাত্রীকে এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যান দুই যুবক। ওই বাড়িতে তখন পরিবারের কেউ ছিলেন না।
এর পর সেখানে বাড়িমালিকের পুত্র এবং আরও এক যুবক আসেন। দুই ছাত্রী বাড়ি ফিরতে চাইলে তাদের বলা হয় খানিক ক্ষণ গল্পগুজব করে চলে যাবে। এর পর মোট ছয় যুবক জড়ো হন বাড়িটিতে। সেখানে ভয় দেখিয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়।
‘নির্যাতিতা’র দাবি অনুযায়ী, মোট চার জন তাকে ধর্ষণ করেন। সেই সময়ে তার বান্ধবীর শ্লীলতাহানি করে অন্য দু’জন। বান্ধবীর ঋতুস্রাব হয়েছিল বলে তাকে ধর্ষণ করা হয়নি। কিন্তু পরনের পোশাক খুলতে বাধ্য করেন ওই যুবকেরা। এর পর ভিডিয়ো করা হয়।
২০ নভেম্বর রাতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফেরে দুই ছাত্রী। ২১ নভেম্বর এক ছাত্রীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার পর থেকে অভিযুক্তদের খোঁজে ছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে কয়েক জনের খোঁজ মেলে। তাঁদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ মেলে। বুধবার মোট ছয় অভিযুক্তই ধরা পড়েছে বলে জানায় পুলিশ।
বুধবার ধৃত ছয় যুবককে হাজির করানো হচ্ছে বারুইপুর মহকুমা আদালতে। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের সকলকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করছে পুলিশ।