বিশ্বনাথ চক্রবর্তী।নিজস্ব চিত্র
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল মোটরবাইক আরোহী এক বৃদ্ধের। শনিবার বেলা দেড়টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ শহরের কালীবাড়ি মোড় এলাকায়, বনগাঁ–চাকদহ সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (৬০)। বাড়ি গোপালনগর থানার চালকিতে। তিনি বনগাঁ আদালতে ল’ক্লার্কের কাজ করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেআইনি পার্কিং ও রাস্তায় ফেলে রাখা ইমারতি দ্রব্যের জন্যেই এ দিনের দুর্ঘটনা। আগেও একই ধরনের কাণ্ড ঘটেছে। প্রাণ গিয়েছে মানুষের। অবিলম্বে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় আশ্বাস দিয়েছেন, রাস্তার পাশ থেকে বেআইনি পার্কিং ও ইমারতি দ্রব্য সরানো হবে। এ জন্য কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিশ্বনাথবাবু আদালত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রাকটি তাঁকে ধাক্কা মারে। পাশে একটি মিনি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। বিশ্বনাথবাবু ছিটকে পড়েন ওই ট্রাকের উপরে। মাথায় চোট লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। মাথায় হেলমেট ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পরে পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে। অনিলবাবু বলেন, ‘‘ধৃতের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটির খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সেটিকে শনাক্ত করা হবে।’’প্রবীণ ওই ল’ক্লার্কের এ ভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না আইনজীবী ও ল’ক্লার্কেরা। তাঁদের কথায়, ‘‘আর কত মৃত্যু দেখতে হবে। সড়ক জুড়ে বেআইনি পার্কিং তৈরি হয়েছে। ইমারতি মালপত্রও পড়ে থাকে। পুলিশ মাঝেমধ্যে ধরপাকড় করলে সে সব সাময়িক বন্ধ থাকে। কিছু দিন যেতে না যেতেই রাস্তা পুরনো অবস্থায় ফিরে যায়।’’ বনগাঁ ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আইনজীবী অসীম দে বলেন, ‘‘সড়কের পাশে ট্রাকটি বেআইনি ভাবে দাঁড়িয়ে না থাকলে বিশ্বনাথবাবুকে এ ভাবে চলে যেতে হত না। আমরা চাই, পুলিশ দ্রুত রাস্তা বেআইনি পার্কিংমুক্ত করুক।’’
এ দিন দুপুরে বনগাঁ-চাকদহ সড়ক ধরে বনগাঁ থেকে গোপালনগরের দিকে সড়কের একপাশ দখল করে পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ওই পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে অনেক দিন আগে অবশ্য প্রশাসনই দাঁড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। এখন আবার ওই সমস্যা সমাধানের চেষ্টাও করছেন জেলা পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা।