মোবাইল চুরির নালিশ, ধৃত ৯

ক্যানিং স্টেশনে ট্রেনে জানলার ধারে বসে কথা বলছেন এক মহিলা। হঠাৎ হাত থেকে মোবাইল টেনে নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। এমন ঘটনা ক্যানিংয়ে প্রায়ই শোনা যেত। পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের হয়েছে বহুবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৩৮
Share:

ধৃত: ক্যানিংয়ে ধৃত দুষ্কৃতীরা। নিজস্ব চিত্র

রাস্তা দিয়ে দুই তরুণী মোবাইলে কথা বলতে বলতে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পিছন থেকে দুই যুবক মোটরবাইকে এসে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে দে ছুট। চিৎকার করে, পিছনে ছুটেও কোনও কাজ হল না। নিমেষে বাইকটি অন্ধকারে মিলিয়ে গেল।

Advertisement

ক্যানিং স্টেশনে ট্রেনে জানলার ধারে বসে কথা বলছেন এক মহিলা। হঠাৎ হাত থেকে মোবাইল টেনে নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা।

এমন ঘটনা ক্যানিংয়ে প্রায়ই শোনা যেত। পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের হয়েছে বহুবার। তদন্তে নেমে পুলিশ রবিবার রাতে কাঠপোল এলাকা থেকে ৯ জন দুষ্কৃতীকে ধরে। পুলিশ জানিয়েছে, এরা মোবাইল ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে ৬ জন পালিয়ে গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে ২৩টি মোবাইল, ১টি ল্যাপটপ, ২টি মোটরবাইক ও ১টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃত ৯ জন দুষ্কৃতীর বাড়ি ক্যানিংয়ের বিভিন্ন এলাকায়। ধৃতদের সোমবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

বারুইপুর জেলা পুলিশের সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘বেশ কয়েকজন তরুণ ও যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমাজে কম বয়সের ছেলেরাই এই সমস্ত কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। তারা ডাকাতির জন্য ওই দিন জড়ো হয়েছিল। এক সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ৯ জনকে ধরে। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, এই সব মোবাইল ছিনতাইকারীরা সব থেকে বেশি মহিলা ও বয়স্কদের থেকে তারা মোবাইল কেড়েছে। কারও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার আগে ছিনতাইকারীরা বেশ কিছু দূর থেকে তাঁদের অনুসরণ করত। সেই মতো সুযোগ বুঝে মোটরবাইকে করে এসে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালাত। এমন বেশ কিছু ঘটনা পুলিশের সামনে আসায় নড়েচড়ে বসে ক্যানিং থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ক্যানিংয়ের মালিরধার, কাঠপোল, ট্যাংরাখালি, মিঠাখালি-সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ১৮-২২ বছর বয়সী ছেলেরা এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। যাদের মধ্যে কলেজ ছাত্রও রয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, এই তরুণ ও যুবকেরা নিজেদের শখ, আহ্লাদ মেটানোর জন্যই ছিনতাই করত। শুধু ছিনতাই নয়, চুরি, ডাকাতির মতো ঘটনার সঙ্গেও এরা জড়িত। এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘আশা করি, এ বার মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ কিছুটা কমবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন