Death

ভিন্‌ রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু সাগরের যুবকের

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক ধরে গুজরাতের সুরাত এলাকার মুন্দ্রা বন্দরে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন সুজিত। মঙ্গলবার সকালে বন্দরে কাজ করার সময়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাগর শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৩
Share:

সুজিত জানা। —নিজস্ব চিত্র।

ভিন্‌ রাজ্যে কাজে গিয়ে ফের মৃত্যু হল বাংলার শ্রমিকের। মৃতের নাম সুজিত জানা (২১)। বাড়ি সাগরের মহেন্দ্রগঞ্জ এলাকায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক ধরে গুজরাতের সুরাত এলাকার মুন্দ্রা বন্দরে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন সুজিত। মঙ্গলবার সকালে বন্দরে কাজ করার সময়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় মহেন্দ্রগঞ্জের বাড়িতে দেহ ফিরেছে। পরিবার-পরিজনের মধ্যে নেমেছে শোকের ছায়া।

সুজিতের বাবা বিশেষ ভাবে সক্ষম। বাড়িতে মা ও দাদা রয়েছেন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য বলতে সুজিতই। অভাবের সংসারে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেই পাড়ি দিয়েছিলেন ভিন্‌ রাজ্যে। প্রায় আড়াই বছর ধরে নানা জায়গায় কাজ করেছেন। শেষ দেড় বছর ছিলেন সুরাতে।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালেও কাজে গিয়েছিলেন। একটি ক্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। তাতেই মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। গত কয়েক মাসে ভিন্‌ রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে এ রাজ্যের বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। ভিন্‌ রাজ্যে কাজে গিয়ে শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, অন্যান্য রাজ্যের শ্রমিকেরা যখন বাংলায় কাজ করতে আসেন, তখন তাঁদের সব রকম খেয়াল রাখে রাজ্য। কিন্তু এ রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা যখন বেশি টাকা পাওয়ার আশায় ভিন্‌ রাজ্যে কাজে যান, তখন তাঁদের মৃতদেহ হয়ে ফিরতে হয়। সম্প্রতি যে দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু হয়েছে, সেখানে পরিযায়ীদের পরিসংখ্যানও নথিভুক্ত করা হচ্ছে। তারই মাঝে এই বিপত্তি।

সুজিতের বাবা তাপস বলেন, ‘‘অভাবের সংসারে সুজিত কাজে গিয়েছিল বাইরে। দুর্ঘটনার আগের দিনও ফোন করে বলেছিল, বাবা আমার টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপূজার সময়ে বাড়ি যাব। কিুছু টাকা ও তোমাদের জন্য নতুন জামা-কাপড় নিয়ে যাব।’’ মা সুমিতার কথায়, ‘‘ওর টাকাতেই সংসারটা চলত। জানি এ বার কী হবে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন