স্কুলের ১০০ মিটারের মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে বিড়ি, সিগারেট, গুটখা। সে সব কিনছে ছাত্রেরাও। স্কুলের আনাচ-কানাচে চলে ধূমপান, কাকদ্বীপের বহু স্কুলে অভিযোগ এমনটাও।
বীরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের পাশেই বিধান ময়দান। স্কুল চলাকালীন সেখানে কয়েকটি অস্থায়ী দোকান বসে। সেখানে রকমারি জিনিসের সঙ্গেই লুকিয়ে বিক্রি হয় সিগারেট। স্কুলে ঢোকার আগে কিংবা টিফিনের সময়ে সেই দোকান থেকে সিগারেট কিনছে ছাত্রেরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মাইতি বলেন, ‘‘এর আগেও ওই দোকানগুলিকে সিগারেট বিক্রি করতে বারণ করা হয়েছিল। আমরা তো সব সময়ে নজরদারি করতে পারি না। পুলিশকে বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করেছি।’’
টিফিনের সময়ে ওই স্কুলের পাশে গিয়ে দেখা গেল, ওই দোকানগুলি থেকে পড়ুয়াদের কেউ কেউ সিগারেট কিনছে। ‘‘স্কুল পড়ুয়াদের সিগারেট বিক্রি করছেন কেন?’’ দোকানদারকে এই প্রশ্ন করতে তাঁর উত্তর, ‘‘কই, কেউ তো এ সব নিয়ে কোনও দিন কিছু বলেনি।’’ স্কুলে ঢোকার গেটের উল্টো দিকে রয়েছে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দফতর। সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ার্স নজরে এলেও বন্ধ হয়নি নাবালকদের সিগারেট বিক্রি। প্রায় একই ছবি দেখা গিয়েছে কাকদ্বীপের সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দির কাছে। এই স্কুলের গেট সামনে জাতীয় সড়ক পার হলেই রয়েছে চারটি দোকান। তার মধ্যে দু’টি চায়ের দোকান, দু’টি রকমারি জিনিসের দোকান। সব ক’টি দোকানেই পাওয়া যায় সিগারেট। দুই দোকানির দাবি, তাঁরা স্কুলের ছেলেদের সিগারেট বিক্রি করেন না।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর জানার ক্ষোভ, ‘‘এ সব আটকানোর রাস্তা নেই। আমরা স্কুল ক্যাম্পাসে যতটা সম্ভব অনুশাসন বজায় রাখি। তল্লাশিও করি। দিন কয়েক আগেই দুই পড়ুয়ার ব্যাগে সিগারেট পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু বাইরে কোনও দোকানিকে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করতে বললে তাঁরা শোনেন না।’’
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। স্কুলের সামনে কোন কোন দোকান থেকে সিগারেট বিক্রি হয়, তা খতিয়ে দেখা হবে।’’