খুশি: ফিরদৌসি। নিজস্ব চিত্র
বনগাঁর কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ফিরদৌসি বেগম। মাধ্যমিকে ৬৭৯ নম্বর পেয়ে শুধুই স্কুলেই প্রথম হয়নি সে, রাজ্যের সংখ্যালঘু পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও তার স্থানীয় বেশ উপরের দিকে। সাম্প্রতিক সময়ে বনগাঁ মহকুমায় সংখ্যালঘু মেয়েদের মধ্যে এত ভাল ফলের নজির নেই। বনগাঁ শহরের জয়পুর এলাকায় ফিরদৌসিদের বাড়ি। বাড়িতে লেখাপড়ার পরিবেশ আছে। বাবা ফুল সাহেব মণ্ডল। তিনি স্থানীয় হজরত পীর আবু বক্কর দারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার ইংরেজির শিক্ষক। একমাত্র মেয়ে ফিরদৌসিকে অবশ্য সাধারণ স্কুলের পাঠ্যক্রম অনুযায়ীই পড়াতে চেয়েছিলেন। যে কারণে ফুলসাহেব মেয়েকে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করেন কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে।
বাবার স্বপ্নপূরণের পথে শক্ত পায়ে এগোচ্ছে মেয়ে। কুমুদিনী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী উকিলের কথায়, ‘‘ফিরদৌসির সাফল্য মুসলিম মেয়েদের আরও বেশি করে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহী করবে।’’
ফিরদৌসি চায়, ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে দরিদ্র মানুষের সেবা করতে। মেয়েটি জানায়, এ সবের প্রেরণা সে পেয়েছে বাবা ও মা নার্সিস পরভীনের কাছ থেকে।