corona virus

সৎকারের পরে রিপোর্ট এল করোনা পজ়িটিভ

ঘটনাটি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের। করোনা রিপোর্ট আসার আগে কেন দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে, সে প্রশ্ন তুলছেন সচেতন গ্রামবাসী। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ০৪:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি

হাসপাতালে মৃত্যুর পরে দেহ নিয়ে গিয়ে প্রথামাফিক সৎকার করেন পরিবারের লোকজন। বছর উনষাটের মৃত ব্যক্তি ছিলেন গোপালনগরের তৃণমূল নেতা। তাঁর মৃত্যুতে জমায়েতও হয়েছিল। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মালা দেন অনেকে। পরে রিপোর্ট এলে দেখা যায়, তিনি করোনা পজ়িটিভ ছিলেন।
ঘটনাটি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের। করোনা রিপোর্ট আসার আগে কেন দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে, সে প্রশ্ন তুলছেন সচেতন গ্রামবাসী। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে।
স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, হাসপাতালে ভর্তি কোনও রোগীর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে রিপোর্ট আসার আগে তাঁর মৃত্যু হলে দেহ ছাড়া হবে কিনা, তা চিকিৎসকদের উপরে নির্ভর করে। তবে সাধারণত রিপোর্ট আসার আগে দেহ ছাড়া হয় না।
হাসপাতাল সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘দেহ সংরক্ষণ করে রাখার মতো পরিকাঠানো এখানে নেই। সে কারণে দেহ ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
স্বাস্থ্য দফতর ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, উপসর্গ থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ওই তৃণমূল নেতাকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে এনে লালারস সংগ্রহ করা হয়। বাড়ি ফিরে যান ওই নেতা। বিকেলের পরে অসুস্থ বোধ করায় মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তিনি মারা যান।
শুক্রবার সকালে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দেহ এলাকায় এনে অনেকে তাতে মালা দেন। পরে শ্মশানে দাহ করা হয়।
বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘‘মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। তবে রিপোর্ট আসার আগে যে ভাবে দেহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হল, তা কি স্বাস্থ্যবিধি সম্মত? বাসিন্দারা শঙ্কিত। প্রশাসনের উচিত পদক্ষেপ করা’’ বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্য বিষয়টি জেলাপ্রশাসনকে জানিয়ে হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন। স্বাস্থ্য কর্তারাদের নজরেও তিনি বিষয়টি এনেছেন। পুরপ্রশাসক বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সর্তক থাকার আবেদন করেছি।’’ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ শহরের এক ব্যবসায়ী দিন কয়েক আগে হাসপাতালে মারা যান। রিপোর্ট আসার আগে তাঁর মৃতদেহও হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অনেক ব্যবসায়ী ওই ব্যবসায়ীকে শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছিলেন। বনগাঁ শ্মশানে তাঁকে দাহ করা হয়েছিল। পুরপ্রশাসক বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার ওই ব্যবসায়ীর রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি করোনা পজ়িটিভ। ওই ব্যক্তির বাড়ি স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছে তাঁদের শনাক্ত করা হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement