Surrender

স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে থানায় হাজির স্বামী

দা-কুড়ুল ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয় সাধন। সেখান থেকে প্রায় ৫ কিলোমিচার হেঁটে পৌঁছয় থানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২০ ০৫:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্ত্রীর সঙ্গে পড়শি যুবকের ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে সন্দেহ করত স্বামী। সেই রাগে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা নিজেই থানায় এসে স্বীকার করে স্বামী। পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাকে।

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদের মধ্য বরুণহাট সরকারপাড়ায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম দীপালি মণ্ডল ওরফে নমিতা (৩৮)। স্বামীর দা-কুড়ুলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ পরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তাঁর স্বামী সাধন মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপালির সঙ্গে পড়শি এক যুবকের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আনাজ বিক্রি করে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে রেগে যায় সাধন। দা-কুড়ুল নিয়ে স্ত্রীকে খুঁজতে বেরোয়। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে স্ত্রীকে দেখতে পায় সে। মোবাইলে কথা বলতে বলতে আসছিলেন নমিতা। তা দেখে ফের সন্দেহ হয় সাধনের। শুরু হয় বচসা। কথা কাটাকাটি চলতে চলতে স্ত্রীর মাথায় সাধন দা, কুড়ুল দিয়ে কোপ বসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

সন্ধে নেমে আসায় সে দৃশ্য কারও চোখে পড়েনি। দা-কুড়ুল ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয় সাধন। সেখান থেকে প্রায় ৫ কিলোমিচার হেঁটে পৌঁছয় থানায়। পুলিশকে জানায়, স্ত্রীকে এই মাত্র কুপিয়ে খুন করেছে সে। স্তম্ভিত হয়ে যান কর্ত্যবরত অফিসার। তবে রক্তের ছিটে লেগেছিল সাধনের পোশাকে। ফলে ঘটনা অবিশ্বাস হয়নি পুলিশের। পরে গিয়ে তারা দেহ উদ্ধার করে। ততক্ষণে প্রাণ বেরিয়ে গিয়েছে নমিতার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন