তৎপর: পুলিশের পদক্ষেপ। ছবি: সুজিত দুয়ারি
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি পোস্ট করে এক যুবককে পাঠিয়েছিলেন তরুণী। ওই যুবকের সঙ্গে তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে ছেলেটির বাড়ির লোকের দাবি। অভিযোগ, প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ের ছবি দেখে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন যুবক। আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের হয় তরুণীর বিরুদ্ধে।
হাবড়ার ডহরথুবার ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণীকে গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার বিকেলে হাবড়া থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে জনতার। জখম হন পাঁচ পুলিশ কর্মী। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে সকলকে থানার সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দিন ওই তরুণীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ নভেম্বর কীটনাশক খেয়েছিলেন বছর তেইশের রণজিৎ বিশ্বাস। ৬ তারিখ সন্ধ্যায় আরজিকরে মারা যান। তাঁর পিসি বুলবুলি রায় থানায় ওই তরুণীর নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেন।
সদ্য বিবাহিতা মেয়েটিকে গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার এলাকার লোকজন প্ল্যাকার্ড নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। জোর করে থানায় ঢোকার চেষ্টা হয়। পুলিশের সঙ্গে মারপিট বাধে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, চার বছর ধরে রণজিতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। দুই পরিবারের লোকজন সে কথা জানতেন। মৃতের পরিবারের দাবি, ওই তরুণীর সঙ্গে রণজিতের বিয়ের কথাও হয়েছিল। পরিবারের দাবি, কিছু দিন ধরে তরুণী রণজিৎকে এড়িয়ে চলছিলেন। অন্য এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় তাঁর। বুলবুলির দাবি, ‘‘নতুন একজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর থেকে ভাইপোকে মানসিক নির্যাতন শুরু করে মেয়েটি। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চায়। প্রায়ই ঝগড়া হত ওদের।’’ দিন কয়েক আগে বিয়ে হয় তরুণীর। সেই ছবি তিনি রণজিতকে পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি যুবকের পরিবারের।