গীতাঞ্জলি প্রকল্পের ঘর বিলি, ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ-সহ নানা সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি এবং স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠল বাসন্তীর ভরতগড় পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সঞ্চিতা বরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ যেমন সরব হয়েছেন, তেমনই তৃণমূলের একাংশও সঞ্চিতাদেবীর বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। তাঁর নামে লিফলেট তৈরি করে এলাকায় বিলি করা হচ্ছে। বাসন্তীর বিডিও-র কাছে সঞ্চিতাদেবীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
বিডিও কল্লোল বিশ্বাস জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে।অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাবতীয় অভিযোগ অবশ্য সঞ্চিতাদেবী উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। দল পুরো বিষয়টি দেখছে। সঠিক তদন্ত হলে সব প্রমাণ হয়ে যাবে।’’ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মন্টু গাজি বলেন, ‘‘মনে হয় প্রধানের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলগত ভাবে প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ওই পঞ্চায়েতটি দখল করার পরে প্রধান হন মমতাময়ী মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনেন তৃণমূল সদস্যদের একাংশ। মমতাদেবীকে সরিয়ে প্রধান করা হয় সঞ্চিতাদেবীকে। এ বার সঞ্চিতাদেবীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠল।
মমতাদেবী বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে সরানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান প্রধান সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে নিজের লোকদের সরকারি সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের জন্য কোনও প্রস্তাব জমা দিলে প্রধান কোনও গুরুত্ব দেন না। দল বিচার-বিবেচনা করুক।’’