Pradhan mantri awas yojana

সরকারি প্রকল্পের ঘর নিয়ে দুর্নীতির নালিশ

বসিরহাট থানার আইসি সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারকের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনা জানতে উভয়পক্ষকে ডাকা হয়েছে।’’

Advertisement

নির্মল বসু

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০ ০২:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বসিরহাটের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ড থেকেই জিতে কাউন্সিলর হয়ে পুরপ্রধান হন তপন সরকার। অভিযোগ, তাঁর এক ‘কাছের মানুষ’ই গ্রাহকদের মারধর করে ব্যাঙ্কের পাস বই কেড়ে নিয়ে চেকে সই করিয়ে টাকা তুলেছেন। অথচ ঘরের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।

Advertisement

ওই ওয়ার্ডে কাজ দেখাশোনার জন্য থাকা সুপারভাইজার মসিবর রহমান মণ্ডলের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় আদালতে অভিযোগ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী-সহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপি দিয়েছেন প্রায় ৩০ জন।পুরপ্রধান তপন যদিও বলেন, ‘‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার কাছে কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। তিন বছর আগে ঘরের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন অভিযোগ করা মানে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’’ মসিবরেরও দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নৈহাটি এবং পশ্চিম দন্ডিরহাট এলাকা থেকে জয়ী হয়ে কাউন্সিলর হন তপন। পরে পুরপ্রধান পদ পান। তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, মূল অভিযোগকারী ইসমাইল সর্দার বলেন, ‘‘২০১৬ সালে আমার নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর বরাদ্দ হয়। মসিবর হুমকি দিয়ে আমার কাছ থেকে ব্যাঙ্কের পাস বই নিয়ে নেন। চেক বইতে জোর করে সই করিয়ে নেন। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি, ব্যাঙ্ক থেকে আমার প্রাপ্য টাকার পুরোটাই তুলে নেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ঘরের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। একই অভিযোগ জোহর আলি-সহ বেশ কয়েকজনের। বসিরহাট থানার আইসি সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারকের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনা জানতে উভয়পক্ষকে ডাকা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন