Allegations

Corruption: একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রশাসনের একটি সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, যিনি কাজ করেননি, তাঁর অ্যাকাউন্টে এ ভাবে টাকা ঢোকানো যায় না। সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 নামখানা শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২২ ০৬:০৯
Share:

দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। ছবি: সমরেশ মণ্ডল

একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা কাজের সুপাভাইজার শেখ জিয়াদ আলির বিরুদ্ধে। তিনি লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তুলে বুধবার দুপুরে নামখানা ব্লকের শিবরামপুর পঞ্চায়েতের পাতিবুনিয়া এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর ধরে পাতিবুনিয়া এলাকায় একশো দিনের কাজে শ্রমিকেরা বন দফতরের একটি প্রকল্পে ম্যানগ্রোভ রোপণ ও অন্যান্য কাজ করেছেন। লক্ষ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। কিন্তু যাঁদের নামে টাকা তোলা হয়েছে, তাঁরা অধিকাংশই টাকা পাননি বলে অভিযোগ। আবার যাঁরা কাজ করেননি, তেমন অনেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে বলেও অভিযোগ।

জিয়াদের যুক্তি, ‘‘একটি জব কার্ডে বছরে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা ঢুকতে পারে। এ দিকে, এই প্রকল্পে কেউ বছরে কাজ করেছেন এক-দেড় লক্ষ টাকার। বাধ্য হয়ে যাঁরা কাজ করেননি, অথচ জব কার্ড আছে, তাঁদের অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢোকাতে হয়েছে। তারপরে ওই টাকা যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের দেওয়া হয়েছে। কোনও দুর্নীতি হয়নি।’’

Advertisement

প্রশাসনের একটি সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, যিনি কাজ করেননি, তাঁর অ্যাকাউন্টে এ ভাবে টাকা ঢোকানো যায় না। সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ।

শিবরামপুর পঞ্চায়েতের প্রধান গীতা কাঁদের দাবি, বিক্ষোভের কথা তিনি জানেন না। দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা-ও বলতে পারবেন না। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। কিছু টাকা পেলেও বাকি টাকা পাননি। এটা বন দফতরের কাজ। ওই দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে সকলে যাতে টাকা পান, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’’

স্থানীয় বাসিন্দা পূর্ণিমা মান্না বলেন, ‘‘গত বছর আমরা কাজ করেছি। বলা হয়েছিল, তিন মাস পরে টাকা পাব। বেশ কয়েক মাস পর প্রথম কিস্তির ৬৩৯০ টাকা পেয়েছি। কিন্তু এখনও অনেক টাকা পাই। সুপাভাইজারকে বললে তিনি নানা টালবাহানা করছেন।’’

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডিএফও মিলন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমার কাছে এ রকম কোনও অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন