আগে ছিল চার। তার সঙ্গে যোগ হল আরও চার। টিটাগড়ে সতীশ মিশ্র খুনে ফের চার জনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, খুনের ঘটনায় এদের প্রত্যেকেরই কোনও না কোনও ভূমিকা রয়েছে।
ধৃতদের নাম মহম্মদ নইম, মুকেশ রাই, আজাদ আলি এবং বলরাম পাসি। সতীশ-খুনে অন্যতম অভিযুক্ত দুই ভাড়াটে খুনিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই চার জনের নাম জানতে পারে পুলিশ। ধৃত চার জনই টিটাগড় এবং আশপাশের বাসিন্দা।
তবে এত কিছুর পরেও পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে ধন্দ কাটছে না। বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, ধৃতেরা স্থানীয় বাসিন্দা। ফলে পুলিশ যে ধরপাকড় চালাচ্ছে, তা তাদের অজানা নয়। মূল অভিযুক্তেরা যে পুলিশের নাগালে রয়েছে, সেই তথ্যও তাদের কাছে আছে। সে ক্ষেত্রে তারা পালাল না কেন? উত্তর নেই পুলিশের কাছেও।
গত সোমবার দুপুরে গুলিবিদ্ধ হন সতীশ। রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। তিনি ছিলেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর মণীশ শুক্লের ডান হাত। ঘটনার দিন মণীশই ভোলা প্রসাদ এবং কালা মুন্নার নামে অভিযোগ করেছিলেন। রাতের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় ভোলা, মুন্না, শেখ সমীর এবং সঞ্জয় দাসকে। পুলিশ জেনেছে, ভোলা খুনের ছক কষেছিল। সমীর ও সঞ্জয়কে সে-ই ভাড়া করেছিল।
তা হলে সদ্য ধৃত চার জনের ভূমিকা কী? তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছে, তারা আট জন একসঙ্গে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। নইম-মুকেশরা ঘটনাস্থলে রেকি করে গিয়েছিল। বেশ কিছু ক্ষণ আগে থেকে তারা অপেক্ষা করছিল। সতীশ ওই জায়গায় আসার সঙ্গে সঙ্গে নইমরা খবর দেয় সমীর ও সঞ্জয়কে। তারা পৌঁছলে সতীশকে চিনিয়ে দেয় নইমরা। ঘটনার পরে মণীশ এবং তাঁর সঙ্গীরা যখন তাড়া করে দুষ্কৃতীদের, নইম-মুকেশদের মধ্যে দু’জন তাদের পালাতে সাহায্য করে।
মূল অভিযুক্ত ভোলা এখনও হাসপাতালে ভর্তি। মাইগ্রেনের সমস্যা ছাড়াও তার বুকে ব্যথা রয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, আগামী দু’-এক দিনের মধ্যেই ভোলাকে আদালতে তোলা সম্ভব হবে। তাকে জেরা করলেই খুনের কারণ জানা যাবে।