আদালতের পথে বিশ্বনাথ। ছবি: শান্তশ্রী মজুমদার।
বাপুজির সিপিএম কর্মী নরোত্তম মণ্ডলকে খুনের অভিযোগে বুধবার ধরা পড়েছেন তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পাত্র। গ্রেফতারের পরে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নতুন ধারাতেও মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালত তা মঞ্জুরও করেছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী সত্যরঞ্জন মাইতি। বৃহস্পতিবার বিশ্বনাথকে কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন।
নরোত্তমবাবুর ছেলে শুভদীপ বলেন, ‘‘আমরা চাই দোষীরা যেন দৃষ্টান্তমূলক সাজা পায়।’’ তাঁর দাবি, অভিযুক্তদের তরফে নানা ভাবে হুমকি আসছে। যার জেরে তাঁরা বাড়িছাড়া হয়ে আছেন।
বিশ্বনাথকে গ্রেফতারে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সায় আছে বলেই মনে করছেন দলের একটি অংশ। দলের অন্দরেও তাঁর কাজকর্মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমা হচ্ছিল দীর্ঘ দিন ধরেই। নানা সময়ে তোলাবাজি, পুলিশ পেটানো, মারধরে নাম জড়িয়েছে বিশ্বনাথের। এমনকী, নিজের দলের ছোটখাট নেতারাও নানা সময়ে তাঁর জুলুমের শিকার হয়েছেন বলে দলের অন্দরেই গুঞ্জন আছে।