নির্বাচনে তৃণমূলের হারের জন্য বাগদা ব্লক কমিটি ও ন’টি অঞ্চল কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। তবে দলীয় কোন্দল মেটাতেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন দলের একাংশ।
মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন কমিটি তৈরি করা হবে। তত দিন পর্যন্ত বাগদা বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান উপেন বিশ্বাসের নেতৃত্বে দল পরিচালিত হবে।’’ দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নির্দেশে কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। বিধানসভা নির্বাচনে বাগদার তৃণমূল প্রার্থী উপেন বিশ্বাস এ বার প্রায় ১৩ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী দুলাল বরের কাছে। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে উপেনবাবু জিতেছিলেন প্রায় ২১ হাজার ভোটে।
দলীয় সূত্রের খবর, বাগদায় তৃণমূলের পরাজয়ের অন্যতম কারণ হল দলীয় কোন্দল। ভোটের ঠিক আগে দলীয় নেতৃত্বের উপরে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছেড়েছিলেন তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা-নেত্রী। তাঁরা দুলালবাবুর সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। দলের একটি সূত্রের খবর, নেতৃত্বের একাংশকে উপেনবাবুর হয়ে প্রচার করতে দেখা যায়নি। তখনই কোন্দল স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সে কারণেই সমস্ত সংগঠন ভেঙে দেওয়া হল বলে দলের একাংশ মনে করছে। সদ্য অপসারিত বাগদা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তুলসী বিশ্বাস বলেন, ‘‘কী আর বলব, দল যা ভাল মনে করেছে তাই করেছে। তবে আমি সাধ্য মতো সব পক্ষকে নিয়ে ভোটের প্রচারে নামার জন্য সাধ্য মতো চেষ্টা করেছিলাম।’’
দলীয় সূত্রের খবর তুলসীবাবুর নেতৃত্বের উপরে ক্ষুব্ধ ছিলেন উপেনবাবুও। যা তিনি জেলা নেতৃত্বের কাছে জানিয়েও ছিলেন। গোপন রিপোর্টে কমিটি ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন তিনি।