এই সেই খেলাঘর। নিজস্ব চিত্র
ঘরে ঢুকেই চোখ বুলিয়ে খেলাঘর নাম দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। খড়দহ থানার পিছনে বারো বাই এগারো মাপের ঘর। দেওয়াল জুড়ে বেলুন, মেঝেতে কার্পেট। এক কোণে নরম গদিওয়ালা বিছানা। বেঞ্চে রাখা কয়েকটি টেডি বিয়ার। থানায় এমন ঘর নতুন নয়। সম্প্রতি ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বরাহনগর এবং বেলঘরিয়া থানায় তৈরি হয়েছে চাইল্ড কেয়ার। এ বার হল খড়দহ থানায়।
সম্প্রতি ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সুব্রত মিত্র এই ঘরটির উদ্বোধন করেন। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল অপরাধপ্রবণ। নিত্য দিন অপরাধমূলক কাজের অভিযোগে পুরুষের পাশাপাশি ধরা পড়ছেন মহিলারাও। তাই মহিলা পুলিশকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোয় জোর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘অনেক সময় অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে শিশু সন্তান থাকে। মা অভিযুক্ত হলেও সে নয়। আমরা তাদের জন্য এই ঘরের ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়া হারিয়ে যাওয়া শিশু উদ্ধার হলে পরিকাঠামো না থাকয় তাকে থানায় সাময়িকভাবে রাখতেও সমস্যা হয়। খড়দহ থানা সেই অভাব পূরণ করবে।’’
কী কী থাকছে এই খেলাঘরে? পুলিশকর্তারা জানান, উদ্ধার হওয়া বা অভিযুক্তের সঙ্গে থাকা শিশুদের দেখাশোনার জন্য মহিলা পুলিশ থাকবেন। তাদের স্নান করানো, খাওয়ানো, খেলার সঙ্গী হতে মায়ের ভূমিকায় থাকবেন এই পুলিশকর্মীরা। আপাতত লুডো, চাইনিজ চেকার, বাগাডুলি, ঝুনঝুনি, পুতুল দিয়ে ঘর ভরানো হলেও এর পরে সুকুমার, রায়, উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী বা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বইয়ের সম্ভার থাকবে এই ঘরে, এমনটাই পরিকল্পনা ব্যারাকপুর কমিশনারেটের কর্তাদের।