জমি বিবাদে খুন বসিরহাটে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ বছর ধরে এক টুকরো জমি নিয়ে বেলাত, খেলাত ও সাহেব আলি— এই তিন ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা চলছে। এই বিবাদ থানা-পুলিশ থেকে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০৪:০৯
Share:

নিহত আর্সাদ আলি।

এক ফালি জমির জন্য কয়েক বছর আগে খুন হতে হয়েছে বাবাকে। এ বার খুন হলেন বড় ছেলে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের নেহালপুর গ্রামে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, মৃতের নাম আর্সাদ আলি মণ্ডল ওরফে বাবু (৪০)। এর পরেই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত আব্দুল আজাদ মণ্ডল ওরফে বাস্তার পল্টুকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তিনটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ জানায়, ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ বছর ধরে এক টুকরো জমি নিয়ে বেলাত, খেলাত ও সাহেব আলি— এই তিন ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা চলছে। এই বিবাদ থানা-পুলিশ থেকে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ওই জমির দখলকে কেন্দ্র করে কয়েক বছর আগে আত্মীয়ের হাতে খুন হন আর্সাদের বাবা সাহেব আলি। জমি বিবাদ নিয়ে গ্রামে সালিশি সভাও বসে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি।

Advertisement

উত্তপ্ত: পুড়ছে ঘরবাড়ি।—নিজস্ব চিত্র।

পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে ওই জমিতে ঘর করাকে কেন্দ্র করে ফের বিবাদ শুরু হয়। বেলাত ও সাহেবের ছেলেদের সঙ্গে কেলাতের ছেলে ও জামাই-সহ আত্মীয়েদের মধ্যে শুরু হয় লাঠালাঠি। বাঁশ ও লোহার রড নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করেন।

সকাল ১০টা নাগাদ এক বাড়ি থেকে ফিরে খেলাতের আত্মীয় আব্দুল আজাদ দেখেন, তাঁর বাবা সামসুর ও ভাই সাইফুল মাটিতে পড়ে ছটফট করছেন। বাবা-ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে আব্দুল একটা দা নিয়ে মামা আর্সাদের ঘাড়ে কোপ মারে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আর্সাদ। তখন স্থানীয় বাসিন্দদের একাংশ আব্দুল আজাদকে ধরে মারধর শুরু করেন। তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অবশ্য হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৃত্যু হয় আর্সাদের। এই খবর গ্রামে পৌঁছলে ক্ষুব্ধ জনতা আব্দুল ও তাঁর সঙ্গীদের তিনটি বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

পুলিশের দাবি, আব্দুল স্বীকার করেছেন, জরুরি প্রয়োজনে তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে দেখেন, গুরুত্বর জখম অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাবা-ভাই। তা দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি তিনি। ঘরের চালে গোঁজা দা বের করে আর্সাদের গলায় বসিয়ে দেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন