গুলিবিদ্ধ: অশোক বিশ্বাস
তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। শনিবার রাত ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর কালুপুরে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতার নাম অশোক বিশ্বাস। তাঁর ডান পায়ের নীচের দিকে গুলি লেগেছে। তিনি এখন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অশোকবাবুর স্ত্রী দীপালিদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অঞ্জন পাঠক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, এই ঘটনায় বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে। বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি বনগাঁ মহকুমায় এসে তৃণমূল কর্মীদের অনাথ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তা সত্যি করতেই বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অশোকবাবুর উপরে হামলা চালিয়েছে।’’
অঞ্জন পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক। মহারাষ্ট্রে কাজ করেন। ভোটের জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের কর্মী অঞ্জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। একই দাবি পরিবারেরও। তাঁর বোন উৎপলা বিশ্বাস বলেন, ‘‘দাদা গ্রামের বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী কৃষ্ণা রায়ের হয়ে প্রচার করেছিলেন। সে জন্য দাদাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল।’’ জেলা বিজেপির সহ সভাপতি মধুসূদন মণ্ডল বলেন, ‘‘আদৌ গুলিতে অশোকবাবু জখম হয়েছেন কিনা, তা নিয়েই আমাদের সন্দেহ রয়েছে। তৃণমূলের নিজেদের দলীয় কোন্দলের জেরে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতাপনগরে বাড়ি অশোকের। তিনি বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য। বর্তমানে বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির ৪১ নম্বর আসনে তৃণমূলের আহ্বায়ক। শনিবার রাতে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে মোটর বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন অশোক। অভিযোগ, সে সময়ে তাঁকে তাক করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। একটি গুলি পায়ে লাগে। পড়ে যান অশোক। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। অশোক পুলিশকে জানিয়েছেন, কারা গুলি চালিয়েছিল, তা তিনি দেখতে পাননি।