শুভারম্ভ: অনুষ্ঠান শুরুর আগে ফাটানো হচ্ছে নারকেল। নিজস্ব চিত্র
গান, কবিতা, আলোচনা, পুজোর মধ্যে দিয়েই বাংলা নববর্ষ পালন করল বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকাল ট্রেনের নিত্য যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বর্ষবরণ আয়োজিত হয়েছিল। গোটা ট্রেনটি ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা ত্রিশ মিনিট নাগাদ ওই লোকাল ট্রেনটি বনগাঁ স্টেশন থেকে ছাড়ে। তার আগে ট্রেনের সামনে রেল লাইনে নারকেল ফাটানো হয়েছিল। বর্ষবরণের জন্য কামরার মধ্যেই তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী মঞ্চ। ছিল মাইক্রোফোন। ‘‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে...’’ গেয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন অন্ধ গায়ক পরান মণ্ডল। তিনি ওই ট্রেনেই নিয়মিত গান গেয়ে ভিক্ষা করেন। অনুষ্ঠান শেষে যাত্রীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। উপহার হিসেবে দেওয়া হয় পেন।
আয়োজকেরা জানান, বারো বছর ধরে বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা এই ভাবেই বাংলা নববর্ষ পালন করে আসছেন। শুধু অনুষ্ঠান নয়, এ বার ছিল নানা সচেতনতামূলক প্রচার। দিন কয়েক আগেই চলন্ত ট্রেনে নিজস্বী তুলতে গিয়ে মারা গিয়েছেন তিন জন। তাই এ বার চলন্ত ট্রেনের সামনে যাতে কেউ নিজস্বী না তোলেন তার জন্য প্রচার চালানো হয়। এ ছাড়া রেল অবরোধ না করা, চলন্ত ট্রেনের গেটে না ঝোলা এবং বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণের বিরুদ্ধেও প্রচার করেন তাঁরা।
প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, গোপাল পাল, দেবাশিস চন্দ্রের মতো কয়েকজন নিতাযাত্রী বলেন, ‘‘এই লোকাল ট্রেনে আমরা রোজ যাতায়াত করি। নিত্যযাত্রীদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং নববর্ষ উদযাপন করতেই এই আয়োজন।’’