মঞ্চের সামনেই হাতাহাতি। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির সামনেই কোন্দলে জড়ালেন দলের নেতা-কর্মীরা। এক শিক্ষক নেতাকে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠল দলেরই জেলা পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে।
সোমবার বিকেলে বসিরহাটের রবীন্দ্রভবনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল দলের জেলা নেতৃত্ব। দিলীপবাবু সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ভিড়ে ঠাসা সভায় দলের বসিরহাট সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি বিকাশ সিংহ বক্তব্য রাখতে উঠলেই কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে গিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন জেলা পর্যবেক্ষক সমীরণ সাহা। তিনি মঞ্চ থেকে নেমে স্বরূপনগরের গলদা প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা দলের প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি দীপক সরকারকে ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। তার পরে গোলমাল আরও বাড়ে। সমীরণবাবুর বক্তব্য শুরু হলে তাঁকে মাইক ছাড়তে বলে বিক্ষোভ শুরু হয়। তুমুল হইচইয়ের মধ্যে বিজেপির রাজ্যে সাধারণ সম্পাদিকা দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে রাজ্য নেতৃত্ব।’’ তারপরে পরিস্থিতি অবশ্য কিছুটা স্বাভাবিক হয়। পরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রতি দলের মধ্যেই কেউ অসন্তুষ্ট থাকতে পারেন। কারও ক্ষোভ থাকতেই পারে। সকলের সঙ্গে কথা বলা হবে। তবে বিষয়টি আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছি না।’’
এ দিনের সভায় কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূলকে এক সুরে আক্রমণ করেন দিলীপবাবু। সম্প্রতি তোলাবাজির অভিযোগে বিধাননগরে গ্রেফতার হয়েছেন এক তৃণমূল কাউন্সিলর। সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপবাবুর দাবি, ‘‘একজন কাউন্সিলরকে ধরতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করতে হচ্ছে। দিদি বলছেন সব বন্ধ করে দিয়েছি। তা হলে তো দিদির সব ভাই-বোনকে জেলে ভরতে হবে।’’