বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি বিএলও তনুশ্রী হালদার নাইয়া। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজ করতে করতে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিএলও। জয়নগরের পর এ বার ঘটনাস্থল রাজপুর-সোনারপুরের সুভাষগ্রাম এলাকা। শনিবার রাতে সেখানকার এক বিএলও কাজ করতে করতে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিএলও-র দায়িত্বে ছিলেন তনুশ্রী হালদার নাইয়া। শনিবার রাতে বুথে বসেই এসআইআর-এর এনুমারেশন ফর্ম সংশোধনের কাজ করছিলেন তিনি। আচমকা তাঁর মাথা ঘুরে যায়। অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান তিনি। বুথে উপস্থিত সহকর্মীরা ধরাধরি করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়েছে ওই বিএলও-কে।
তনুশ্রীর পরিবারের অভিযোগ, দিনরাত এসআইআর-এর কাজ করতে হচ্ছিল বিএলও-কে। এত চাপ তিনি নিতে পারছিলেন না। কাজের চাপেই সংজ্ঞা হারিয়েছেন। তনুশ্রীর স্বামী হীরালাল হালদার বলেন, ‘‘কাজের খুব চাপ। দিনরাত ওকে কাজ করতে হচ্ছিল। রাতও জাগছিল। এত চাপ ও নিতে পারছিল না। বার বার বলছিল, ‘পারব না পারব না’। কাজের চাপেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে।’’ তবে এমনিতেও তনুশ্রীর শারীরিক কিছু অসুস্থতা ছিল, রক্তচাপ ওঠানামা করত, জানিয়েছেন তাঁর স্বামী।
সংজ্ঞাহীন অবস্থায় প্রাথমিক ভাবে সুভাষগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিএলও-কে। পরে সেখান থেকে বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে এসে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। হরিনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের ৩১ নম্বর বুথের বিএলও কমলপদ নস্কর বিকেলে বাড়ি বাড়ি এসআইআরের ফর্ম সংগ্রহ করে ফেরার পথে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান। আপাতত তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর-এর অতিরিক্ত কাজের চাপে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শনিবারই নদিয়া জেলার এক বিএলও আত্মঘাতী হয়েছেন। সুইসাইড নোটে মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে গিয়েছেন তিনিও।