Murder

তরুণীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে মাঠে

পল্লবী সর্দার (২৪) নামে ওই তরুণীরই রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল শনিবার সকালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাসন্তী শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২০ ০১:৪৩
Share:

পল্লবী সর্দার

স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বাপের বাড়িতে এসে ওঠেন তরুণী। খোরপোষের মামলা করেন। সে জন্য খুনের হুমকি আসছিল বলেও অভিযোগ।

Advertisement

পল্লবী সর্দার (২৪) নামে ওই তরুণীরই রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল শনিবার সকালে। বাসন্তীর দক্ষিণ নারায়ণতলা গ্রামে রাস্তার পাশে জলাজমিতে পড়েছিল দেহ। মাথায় গভীর ক্ষত। পাশে পড়ে ইট, মদের বোতল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ভারী কিছু দিয়ে ঘা মেরে খুন করা হয়েছে। পল্লবীর স্বামী তাপস সর্দারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সে পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর সাতেক আগে ক্যানিংয়ের সাতমুখী দুমকি গ্রামের বাসিন্দা তাপসের সঙ্গে বাসন্তীর বাসিন্দা পল্লবীর বিয়ে হয়। তাঁদের বছর পাঁচেকের মেয়ে আছে। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় পল্লবীর। তিন বছর ধরে বাপের বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ওই তরুণী। কলকাতায় একটি আয়া সেন্টারে কাজ করতেন।

Advertisement

বিবাহ বিচ্ছেদ ও খোরপোষের মামলা করেছিলেন পল্লবী। সে কারণে একাধিকবার তাপস তাঁকে খুনের হুমকি দেয় বলে পল্লবীর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ। তাপসই পরিকল্পনা করে খুন করেছে বলে মনে করছেন তাঁরা। পল্লবীর ভাই শুভঙ্কর মণ্ডল বলেন, ‘‘বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই দিদির উপরে অত্যাচার করত তাপস ও তার পরিবার। মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে এসেছিল দিদি। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল।’’

পরিবার সূত্রের খবর, সন্ধ্যার দিকে ক্যানিং স্টেশনে নেমে প্রায় আট কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে ফিরতেন পল্লবী। শুক্রবার রাতে ফেরেননি। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছু দূরে তাঁর দেহ মেলে।

পল্লবীর মা অসীমা মণ্ডল বলেন, ‘‘তাপসই খুন করেছে আমার মেয়েকে। ওর চরম শাস্তি চাই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন