একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটির ‘অপরাধ’ সে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরিচিতের বন্ধুত্বের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। অভিযোগ, সেই কারণেই এক যুবক রীতিমতো ওই ছাত্রীর ফোন নম্বর জোগাড় করে অশ্লীল প্রস্তাব পাঠাতে শুরু করেছে। এমনকী অশ্লীল ছবিতে ওই ছাত্রীর মুখ বসিয়ে ‘সুপার ইম্পোজ’ করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। বিষয়টি জানিয়ে প্রায় দিন কুড়ি আগে বরাহনগর থানা ও ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখাতে ওই ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি অভিযুক্ত যুবক।
ব্যারাকপুর সিটি পুলিশ তদন্তে জেনেছে, হোয়াটসঅ্যাপে যে মোবাইল নম্বরটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, সেটির বদলে অন্য নম্বরের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ করছে অভিযুক্ত।
তার হদিস পেতে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনার রাজেশকুমার সিংহ বলেন, ‘‘এ বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে।’’
কিশোরীর পরিজনেরা জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে ওই অপরিচিত যুবকের বন্ধুত্বের আবেদন খারিজ করে তাকে ব্লক করে দিয়েছিল কিশোরী। অভিযোগ, এর পরেই অচেনা নম্বর থেকে তাকে হোয়াটসঅ্যাপ করে অশ্লীল চ্যাট করার দাবি জানায় অভিযুক্ত। আপত্তি জানানোয় বিভিন্ন অশ্লীল ছবিতে মেয়েটির মুখ বসিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে শুরু করে ওই যুবক। নম্বরটি ব্লক
করা হলেও অন্য নম্বর ব্যবহার করে এবং একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেয়েটিকে যুক্ত করে ফের অশ্লীল ছবি পোস্ট করা হয়। ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
পাশাপাশি কিশোরীর বিভিন্ন গতিবিধি জেনে সেগুলিও হোয়াটসঅ্যাপে লিখে পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। ছাত্রীর দাদা জানান, পুলিশের পরামর্শ মতো এক বার ওই যুবকের সঙ্গে ভিডিও চ্যাট করে বোন। তখনই ছেলেটির ছবি স্ক্রিনশট হিসেবে নিয়ে পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।