ভেড়ির জলে নেমে ছাত্রীর মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
পাড় থেকে নামলে মোটামুটি হাঁটুজল। তার পরে আচমকাই সেই জলের গভীরতা ৩০ ফুট। ভেড়ির জলের এমন চরিত্রের কথা জানা ছিল না একাদশ শ্রেণির ছেলেমেয়েদের দলটার। মঙ্গলবার বন্ধুদের সঙ্গে ভেড়ি এলাকায় বেড়াতে গিয়ে ওই জলেই নেমে পড়ে রাজারহাটের একটি স্কুলের ছাত্রী। বিকেলে সেই ভেড়ির জলেই উদ্ধার হয় তার দেহ। উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থানার ভাদুড়িয়ায় ওই ঘটনার পরে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার। পুলিশের অবশ্য দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। জলে ডুবেই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী সহপাঠীদের সঙ্গে রাজারহাটের স্কুল থেকে বেরোয়। আট জন ছাত্র ও চার ছাত্রী মিলে শাসনে এক বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার পথে ইটভাটা সংলগ্ন একটি ভেড়িতে হাত-পা ধুতে নামে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জলে নেমে হুটোপাটি করে মোবাইলে ছবিও তুলছিল তারা। কিন্তু ভেড়ির জল যে হঠাৎ করেই অনেকটা গভীর, তা বুঝতে পারেনি ওই ছেলেমেয়েরা। সেই সময়েই অসতর্ক হয়ে ছাত্রীটি তলিয়ে যায় বলে দাবি পুলিশের। খবর পেয়ে ইটভাটা ও ভেড়িকর্মীরা এসে জলে নেমে মেয়েটির খোঁজ শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ পরে মাছ ধরার একটি হুইল দিয়ে টেনে তোলা হয় ওই ছাত্রীর দেহ। শাসন থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। এতগুলি ছেলেমেয়ে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কিশোরীটির পরিবার। তাঁদের দাবি, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। কেউ গ্রেফতারও হয়নি।”
বসিরহাটে প্রচারে বিজেপি নেতৃত্ব।